Sun. May 11th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

nap chairmenমহান মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধনীতার মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র, সেই গণতন্ত্র আজ নির্বাষিত বলে অভিমত প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান ও ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষনেতা জেবেল রহমান গানি বলেছেন, আমরা দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে সংগ্রাম করব। বাংলার মাটিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতার চেতনা দেশের গণতন্ত্র আজ প্রাণহীন। গণতন্ত্রের কথা সংবিধানে লিপিবদ্ধ থাকলেও, শাসকগোষ্টির কারণে সেই গণতন্ত্র আজ সমাজে-রাষ্ট্রে কোথাও নেই।
জনাব জেবেল রহমান গানি আজ মঙ্গলবার সকালে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ‘র সম্পাদকমন্ডরীর সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন। বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া‘র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু, স্বপন কুমার সাহা, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মোঃ নুরুল আমান চৌধুরী, আহসান হাবিব খাজা, মোঃ রাশেদউদ্দিন ফয়সাল, মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, মোঃ কামাল ভুইয়া, মোঃ আনছার রহমান শিকদার, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, উপ-সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
জেবেল রহমান গানি দেশবাসীকে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, সর্বত্র দলীয়করণ আর দখলদারিত্ব চলছে। সরকারী দলের কালো থাবা থেকে কোরবানীর পশুরহাটও আজ নিরাপদ নয়। এই অবস্থায় একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমাদের দলকে সুসংগঠিত করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, দেশে কোথাও আজ গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্র শুধু সংবিধানে রয়েছে। দেশে কথা বলার অধিকার নেই, ভোট দেবার অধিকার নেই, সর্বত্র দখলদারিত্ব চলছে। দেশে সুশাসন-আইনের নেই। দেশে সুশাসন আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দেশপ্রেমিক শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। তিনি বলেছেন, সরকার দেশে অত্যাচার, দুর্নীতি ও বৈষম্যের পাহাড় সৃষ্টি করেছে। দুর্নীতিবাজ সরকারের পতন করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সভায় কোরবানীর পশুরহাট নিয়ে চাঁদাবাজী, টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে জনতার প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের গুলিতে সাধারন মানুষ হত্যা গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে কোরবানী ঈদের পশুর চমারা নিয়ে সরকারী দলের সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজী বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জোর দাবী জানানো হয়।
সভায় ঈদের পূর্বেই বিরোধী দলের সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানানো হয়।