কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও, খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ০১ অক্টোবর ২০১৫
ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। জেলার রায়পুর ইউনিয়নের ছোট বেংরোল গ্রামের তাইজ উদ্দিন এর শিশু কন্যা তামান্না আক্তার তাসমিন (৫) ধর্ষণের শিকার হয়েছে ঐ গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক এর ছেলে শরিফ হোসেন (২৩) এর দোকানের ভিতরে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টায় জৈনিক আব্দুর সাত্তার এর বাড়ীর পূর্বপাশে রাস্তার ধারে আবু বক্কর সিদ্দিক এর ছেলে শরিফ হোসেন (২৩) এর মুদিদোকানে,তাইজ উদ্দীন এর শিশু কন্যা তামান্না আক্তার তাসমিন (৫) মুড়ি,নাড়ু–,চুইনগাম ক্রয় করতে যায়। সে অবস্থায় শরিফ দোকানের ঝাপ বন্ধ করিয়া দোকানের দরজা খোলা রাখিয়া বসে থাকে। তামান্না আক্তার দোকানের দরজার পাশে গিয়ে মুড়ি,নাড়–,চুইনগাম ক্রয় করতে চাইলে শরিফ তাকে দোকানের ভিতরে আসে খরচ নিতে বলে,দোকানে ডুকা মাত্র তার হাত,মুক চিপে ধরে তাকে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করায় এবং তাকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। পরে ধর্ষন শেষে মেয়েটি কান্না করতে করতে বাসায় যায়।
অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, দুপুরে তামান্না আক্তার কান্না করতে করতে বাড়িতে আসে। পড়ে মেয়ের বাবা তার শরীরের বিভন্ন জায়গা থেকে রক্ত বাহির হতে দেখিয়া ও শরীরে বিভিন্ন রকমের দাগ দেখে তার স্ত্রীসহ তিনি তার শিশুর কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে থাকে। জিজ্ঞাসাবাদ করা কালিন আশেপাশের লোকজন ও সেখানে উপস্থিত হয় এবং তামান্না সবার সামনে উচ্চ গলায় বলে শরিফ ভাইয়া আমার মুখ চিপে ধরে আমাকে জোর পূর্বক দোকানের ভিতরে নিয়ে যায়,এবং আমার জামা খুলে আমার উপরে উঠেবসে। বিষয়টি শুনার পরে আমি শরিফ হোসেনের পিতা আবু বক্কর এর কাছে যাই কিন্তু সে এই বিষয়ে কোন কিছুই বলেন না। আমরা তাৎক্ষনিক ভাবে তাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করাই। হাসপাতালে ্এসে নুরুল চেয়াম্যান ও খাদেমুলকে ফোন করে,ডেকে আনি। পড়ে নুরুল চেয়ারম্যান ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসিকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এই বিষয়ে আমি থানায় একটি এজাহার দায়ের করি।
এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি মশিউর রহমান জানায়,আমার কাছে ফোন আশা মাত্র আমি এবং পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ হাসপাতালে যাই এবং পর পরেই এস.অই মূর্তজা তার এক দল ফোর্স ঘটনা স্থলে অভিযান চালিয়ে আসামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে।
