Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

9খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ৯ অক্টোবর ২০১৫ : রংপুরে জাপানি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই এক শ্রমিক ও যুবলীগ নেতাকেও হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন পুলিশ, র‌্যব ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন।
এদিকে, সাদা পোশাকধারী লোকজন তুলে নিয়ে গেছে যুবদল নেতা এবং যুবলীগের দু’নেতাকেও। এমন অভিযোগ নিখোঁজদের পরিবারের। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
ঘটনায় রিমান্ডে থাকা বিএনপি নেতা ও জাপানির ব্যবসায়ী পার্টনার জিজ্ঞাসাবাদে কয়েকজনের নাম বলেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখছে পুলিশ।
জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতা রাশেদুন্নবী খাঁন বিপ্লব ও জাপানি নাগরিকের ব্যবসায়ী পার্টনার হুমায়ুন কবির হিরাকে মঙ্গলবার ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। রিমান্ডের দ্বিতীয় দিন তারা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কয়েকজনের নাম বলেছে। পুলিশ তাদের তথ্য যাচাই করে দেখছে।
বিপ্লবের মা বেগম আক্তার, স্ত্রী শিরিন আক্তার ও মেয়ে নেহা তাদের গুপ্তপাড়ার বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন বৃহস্পতিবার।
হোশি কোনিওকে গুলি করে হত্যার পর বুধবার নগরীর কাচারি বাজার এলাকা থেকে কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও যুবলীগ নেতা হিটলারকে সাদা পেশাকধারী পুলিশ একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় বলে তার স্ত্রী সুলতানা পারভীন অভিযোগ করেন, তার স্বামীকে কারা তুলে নিয়ে গেছে এখন কেউ স্বীকার করছে না। এ ঘটনায় তিনি কেতোয়ালি থানায় একটি জিডিও করেছেন।
অন্যদিকে, যুবদল নেতা রাজিব হোসেন সুমন ওরফে মেরিল সুমনকেও সাদা পোশাকধারীরা ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। কারা, কেন তাকে ধরে নিয়ে গেছে তাও জানতে পারেনি তার পরিবার।
এদিকে,কাউনিয়ার আলুটারি যেখানে জাপানি নাগরিক হোসি কোনিও খুন হন, সে এলাকায় যুবলীগ নেতা ও মোটর শ্রমিক নেতার বাড়ি। পুলিশ ওই নেতাকেও খোঁজে বেড়াচ্ছে। কিন্তু তার কোন খোঁজ পাচ্ছে না। ঘটনার পর থেকেই তিনিও আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রটি জানায়।
কউনিয়া থানার ওসি (তদন্ত)ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুন-অর-রশিদ জানান, রিমান্ডে থাকা আসামিরা জিজ্ঞসাবাদে যেসব তথ্য দিয়েছে তা যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার মাহিগঞ্জ সাতমাথা সংলগ্ন রংপুর-হারগাছা সড়কের কাউনিয়ার আলুটারিতে জাপানি নাগরিক হোসি কোনিওকে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে এসে গুলি করে পালিয়ে যায়। লোকজন তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।