খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০১৫, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ সদর উপজেলাধীন বোড়াশী ইউনিয়নের শেখ মুজিব আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে প্রায় ৬ কিলোমিটার হাটিয়ে এনে প্রথমে গোপালগঞ্জ শহরের স্বর্নকলি স্কুলে এবং পরে এসএম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ৪ ঘন্টা বসিয়ে রাখার পরেও উপবৃত্তির টাকা না দেয়ায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। এ ঘটনায় রবিবার বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর মডেল টেষ্ট এবং ১০ম শ্রেনীর টেষ্ট পরীক্ষা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশীদ।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মফিজুল ইসলামের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন,“ পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে কিনা তা জানি না। তবে উপবৃত্তির টাকা প্রদানের জন্য কয়েকটি ভেন্যু করা হয়েছে। সেসব ভেন্যু থেকে টাকা তুলতে হবে। ব্যাংক কর্মকর্তারা সে সব ভেন্যুতে গিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে টাকা না দিতে পারলে সেটা তাদের গাফিলতি। নিয়মের বাইরে কিছু করা হয় নাই।
শেখ মুজিব আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী শামীমা আক্তার বলেছেন, “১২ কি.মি পথ পায়ে হেটে আসা যাওয়া করে উপবৃত্তির টাকা তুলতে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে হয়েছে। পরীক্ষা না দিতে পারায় খারাপ লাগছে”।
অভিভাবক জাকির হোসেন বলেন, “এ ধরনের উদ্ভট নিয়মের জন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে”।
রবিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরের এসএম মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যখন শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির চেক এবং টাকা নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলো তখন ছবি তুলতে গেলে শেখ মুজিব আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন বাধা দেন। তিনি বলেন, “ছবি তোলা অবৈধ”। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে চেক বিতরন সম্পন্ন হলেও টাকা দেয়া হয় নাই।