খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০১৫, মুলাদী, বরিশাল : বরিশালের মুলাদীতে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর জখম হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই শিক্ষার্থী শান্ত ও ইউসুফ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দিন কাটাচ্ছে। তাদের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে আসামীরা হত্যার হুমকি দিচেছ বলে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন। আহত শিক্ষার্থী শান্তর পিতা শাহজাহান হাওলাদার অভিযোগ করেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য চরপদ্মা গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সুজন ও শাওন এলাকায় মহড়া দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। চরপদ্মা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র ইউসুফ (১৪) এবং সলিমুল্লাহ কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র শান্ত হাওলাদার সন্ত্রাসীদের সাথে মহড়ায় যেতে অস্বীকার করলে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সন্ত্রাসী সুজন ও শাওনের নেতৃত্বে তাদের সহযোগী সজিব, রাজিবসহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাদ্রাসারহাট এলাকার শাহজাহান হাওলাদারের পুত্র শান্ত এবং শাহআলম হাওলাদারের পুত্র ইউসুফকে এলোপাথারী কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আহতদের ডাকচিৎকারে স্থানীরা এসে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতদের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার ওই দিন রাতেই দু’জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় শান্তর পিতা শাহজাহান হাওলাদার বাদি হয়ে মুলাদী থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ সময় ক্ষেপন করছে। অভিযোগ দায়ের করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা অভিযোগ তুলে নেওয়া এবং মামলা না করার জন্য বাদী ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে বাদী অভিযোগ করেন। স্থানীয়রা জানান সন্ত্রাসীদের হুমকিতে আহত ইউসুফের পরিবার হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস পাচ্ছে না। এব্যাপারে মুলাদী থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মতিউর রহমান জানান হামলার ঘটনায় থানায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। অপরদিকে ওই সন্ত্রাসীরা চাঁদার দাবীতে সফিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বীরমুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন সিপাহীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পেতে এলাকাবাসী প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।