খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৫, দিরাই, সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের পল্লীতে ঘুমন্ত এসিড দগ্ধ কিশোরীকে চিকিৎসাসেবা দিতে পাশে দাঁড়িয়েছে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমাতায়ন কর্মসূচী।
রবিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই কিশোরীকে ঢাকার এসিড সারভাইজার ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিভিন্ন গনমাধ্যমে এসিড নিক্ষেপের ঘটনার সংবাদ প্রকাশিত হলেও জামালগঞ্জের কর্ম এলাকায় নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করে এমন কোন এনজিও তাদের কোন খোঁজ খবর নেয়নি। হতদরিদ্র পরিবারের ওই কিশোরী ছাত্রীর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে হিমশিম খাচ্ছিল তার পরিবার। ঠিক সেই মুর্হুতে পাশে দাঁড়ায় ব্র্যাক। উল্লেখ্য গত বুধবার দিবাগত গভীর রাতে পল্লী গ্রামে নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় ফেনারবাঁক ইউনিয়নের ল´ীপুর গ্রামের বিলপাড়া হাটিতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার খবব পেয়ে দ্রুত জামালগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শনে গিয়ে মোহন মিয়া (২০) কে গ্রেফতার করে। ওই দিন বিকেলে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মোমেন, সহকারি পুলিশ সুপার সুরুত আলীকে সংঙ্গে নিয়ে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ আতিকুর রহমান দ্বিতীয় দফা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। মেয়ের ভাই মনোয়ার মিয়া বাদী হয়ে ঐ যুবককে আসামি করে জামালগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৪। (তারিখ- ৮.১০.১৫)।
ব্র্যাক-টিএইচ পি এসএলজি প্রজেক্টের ফেনারবাক ইউনিয়নে সমন্বয়কারী সাইফ উল্লাহ জানান, এ গঠনার পর থেকে আমি ব্র্যাকের সাথে যোগাযোগ করি। এছাড়া জামালগঞ্জ উপজেলা বিভিন্ন বেসরকারী এনজিও সংস্থা শুধু মাত্র নারী অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে তাদের সাথে ও যোগাযো করি। কিন্তু কোন ফল হচ্ছি না। পরে ব্র্যাক তার পাশে দাড়ায়।
এসিড দগ্ধ ছাত্রীর ভাই মনোয়ার হোসেন জানান, আমার বোনকে এসিড নিক্ষেপ করার পর দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এর স্থানীয় মাধ্যমে ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসুচীর লোকজন সিলেট হাসপাতালে আসে। আমার বোনের অবস্থা খারাপ দেখে তারা তাদের উদ্যোগে ঢাকায় এসিড সারভাইজার ফাউন্ডেশনে নিয়ে সকল চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করবেন।
ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমাতায়ন কর্মসূচী’র জেলা ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন জানান, এসিড দগ্ধ কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা এসিড সারভাইজার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এতে রোগীর চিকিৎসা সহ যাবতিয় খরচ ব্র্যাক বহন করবে।