খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০১৫ : বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীকে ভোটার করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে লালমনিরহাটের চার বিলুপ্ত ছিটমহলের ভোটার এলাকা পুনর্বিন্যাসের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মাহফুজা আক্তার লালমনিরহাট সদর ও হাতিবান্ধা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।
এতে পুনর্গঠিত সাধারণ ওয়ার্ড, মৌজা/এলাকার বিবরণ ও অন্তর্ভুক্ত বিলুপ্ত ছিটমহলের নাম ও নম্বর তুলে ধরা হয়েছে।
দু’দেশের ছিটমহল বিনিময় আনুষ্ঠানিক হস্তান্তরের পর এটা ইসির প্রথম কোনো উদ্যোগ।
ইসি কর্মকর্তা মাহফুজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চার বিলুপ্ত ছিটমহলের বিষয়ে ইসির নির্দেশনা সেখানকার ভোটারযোগ্যদের তালিকাভুক্ত করার জন্য একধাপ অগ্রগতি।”
পর্যায়ক্রমে বাকি ১০৭টি বিলুপ্ত ছিটমহলের বিষয়ে একই ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার বিলুপ্ত ১৫১ বাঁশপাই ও ১৫২ বাঁশপাই ভিতরকুটি ছিটমহল কুলাঘাট ইউনিয়নের এক নম্বর ও পাঁচ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
হাতিবান্ধা উপজেলার বিলুপ্ত ১৩৫ গোতামারী ও ১৩৬ গোতামারী ছিটমহল গোতামারী ইউনিয়নের এক নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
দুই দেশের স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী, দাসিয়ারছড়াসহ ভারতের ১১১টি ছিটমহল ১ অগাস্ট প্রথম প্রহর থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে যুক্ত হয়। এর বাসিন্দারাও বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে যান।
একইভাবে ভারতের মধ্যে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ভারতের অংশ হয়ে যায়।
বিলুপ্ত ছিটবাসীকে ভোটার করার প্রক্রিয়ার এ বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, বিলুপ্ত ১১১টি ছিটমহলের মধ্যে অনেকগুলোই বিদ্যমান পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের ওয়ার্ডে যুক্ত হতে পারে। তাতে নতুন ভোটার এলাকার দরকার পড়বে না। কিন্তু নতুন ইউনিয়ন হলে বা নতুন ওয়ার্ডে যুক্ত হলে ভোটার এলাকাও নতুন হবে।
দেশজুড়ে হালনাগাদ কাজের তথ্য সংগ্রহ শেষ হওয়ায় যতদ্রুত সম্ভব বিলুপ্ত ছিটমহলে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।