খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৫: ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলা হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এঁরা হলেন ভাগনে রাসেল, শুটার রুবেল, চাকতি রাসেল ও শরীফ। প্রথম তিনজন ভাড়াটে খুনি। আর শরীফ হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এসব তথ্য দেন।
আছাদুজ্জামান মিয়ার ভাষ্য, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা বলেছেন, সাদা চামড়ার (শ্বেতাঙ্গ) যেকোনো একজন বিদেশিকে হত্যার জন্য “কথিত” এক বড় ভাই তাঁদের টাকা দিয়েছেন।’
এই হত্যার পেছনে উদ্দেশ্য ছিল দেশ ও সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে ফেলা। বিদেশিদের এটা দেখানো যে বাংলাদেশে তাঁরা নিরাপদ নন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান ২-এর ৯০ নম্বর সড়কের গভর্নর হাউসের সীমানাপ্রাচীরের বাইরের ফুটপাতে সিজার তাবেলাকে (৫১) গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা দুই তরুণকে গুলি ছুড়ে অপেক্ষমাণ এক ব্যক্তির মোটরসাইকেলে করে পালাতে দেখেছেন। সিজার নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা আইসিসিও কো-অপারেশন প্রুফসের (প্রফিটেবল অপরচুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন।
হত্যার এ ঘটনার ২৭ দিন পর গতকাল রোববার রাতে সন্দেহভাজন তিন খুনিসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিন খুনি পুলিশকে জানিয়েছেন, একজন ‘বড় ভাইয়ের’ দেওয়া টাকার বিনিময়ে তাঁরা তাবেলাকে খুন করেছেন। তবে তাবেলা তাঁদের কোনো লক্ষ্যবস্তু (টার্গেট) ছিলেন না। তাঁদের শ্বেতাঙ্গ যেকোনো একজন বিদেশিকে হত্যা করতে বলা হয়।
মোটরসাইকেলের মালিক শরীফ পুলিশকে বলেছেন, পূর্ব পরিচয়ের কারণে তিনি মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করতে দেন।
ডিএমপির কমিশনার বলেন, ‘তাবেলার হত্যার পর আইএসের দায় স্বীকার প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে করা হয়েছে। এটি একটি সাজানো নাটক। যে বড় ভাইয়ের কথা সন্দেহভাজন তিন খুনি বলেছেন, তাঁকে পুলিশ শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের রিমান্ডে নেওয়া হলে আরও অনেক কিছু জানা যাবে।