Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৫ : পদ্মা পানি শোধনাগারের প্রথম পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন হলে 50ঢাকা শহরে প্রতিদিন ৪৫ কোটি লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও থেকে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার যশলদিয়ায় পদ্মা পানি শোধনাগারের প্রথম পর্বের কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের আগে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকার জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকার পানির সমস্যা সমাধানে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঢাকায় প্রতিদিন ৪৫ কোটি লিটার সরবরাহ করা সম্ভব হবে। পদ্মা পানি শোধনাগার প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, যশলদিয়ায় এখন যেটা নির্মিত হচ্ছে, সেটা প্রথম পর্যায়। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়টি নির্মাণ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়টি নির্মিত হলে আরও ৪৫ কোটি লিটার পানি পাওয়া যাবে।
বিএনপির সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ঢাকায় পানির জন্য হাহাকার ছিল। তখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারের প্রথম পর্যায় চালু করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালে চালু করা হয় পর্যায়-২ প্রকল্প।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে ঢাকায় পানির চাহিদা ছিল ২১২ কোটি লিটার। তার বিপরীতে আমরা পেতাম ৮৮ কোটি লিটার। এখন ২০১৫ সালে আমরা ২২০ থেকে ২২৫ কোটি লিটার পানি পাচ্ছি। বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের চেয়ে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন। এ ছাড়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বৃষ্টির পানি ব্যবহারের নানা উপকারী দিকও আলোকপাত করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে পানি শোধন করা হয়। আর সেই পানি গাড়ি পরিষ্কার, ইট ধোয়ার কাজসহ বাড়ির গৃহস্থালির কাজে অপচয় করা হচ্ছে। পানির অপচয় কমালে পানির বিলও কম আসবে। তাই পানির অপচয়ের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, যশলদিয়ায় পদ্মা পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্পটি ৩ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৯২ একর জায়গার ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পটি প্রথম পর্বের কাজ বাস্তবায়ন হলে রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন ৪৫ কোটি লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানি ৩৫ লাখ মানুষের মধ্যে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। প্রকল্পটি বায়বায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পস্থল থেকে মাটির নিচ দিয়ে পাইপের মাধ্যমে রাজধানীতে পানি সরবরাহ করা হবে। এই প্রকল্পটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে চায়না সিএমসি।