খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৫: বিশ্ববিদ্যালয়ের ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে জালিয়াতি করার দায়ে হাসিবুল হাসান নামের এক ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শুক্রবার এ দণ্ড দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক-ইউনিটের (বিজ্ঞান অনুষদ) স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের একটি কক্ষ থেকে ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ হাসিবুলকে আটক করা হয়। পরে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমী মাহবুব পাবলিক পরীক্ষা অপরাধ আইনের ১৯৮০ এর ৯ (খ) ধারা অনুযায়ী তাঁকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে হাসিবুলকে শাহবাগ থানার পুলিশের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী বলেন, উদ্ধার হওয়া ডিভাইসটি দেখতে মাস্টার কার্ডের মতো। এর ভেতরে একটি সিম আছে। এ ডিভাইসটি মুঠোফোনের মতো কাজ করে। ওই ডিভাইস ছাড়াও দণ্ডপ্রাপ্ত হাসিবুলের কানে খুবই ছোট একটি হেডফোন ছিল। বাইরে থেকে কেউ উত্তর সরবরাহ করছিলেন,আর হাসিবুল ওই ডিভাইসের মাধ্যমে শুনে তা লিখছিলেন।
প্রক্টর বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাসিবুল পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ছয় লাখ টাকার বিনিময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইটি বিভাগের ফরহাদ মাহমুদ নামের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাঁর পরীক্ষার হলে উত্তর সরবরাহের চুক্তি হয়ে ছিল। ফরহাদকে আটকের চেষ্টা চলছে।