খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৫ : বাংলাদেশের সবচেয়ে গরিব ১০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর আয় দেশের মোট আয়ের মাত্র ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। আর সবচেয়ে ধনী ১০ শতাংশের আয় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
২০ শতাংশ জনগোষ্ঠী ধরে হিসাব করলেও আয়বৈষম্যের একই ধরনের প্রকট চিত্র পাওয়া যায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে গরিব ২০ শতাংশের আয় দেশের মোট আয়ের মাত্র ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে ধনী ২০ শতাংশের আয় ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক সূচকসংক্রান্ত প্রতিবেদন ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট ইনডিকেটরসে বাংলাদেশ নিয়ে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তি হচ্ছে ২০১০ সালের করা বাংলাদেশের খানা আয় ও ব্যয় জরিপ। তবে ২০১৫ সালের সঙ্গে তা সমন্বয় করা হয়েছে।
২০১০ সালের জরিপ অনুযায়ী, সে সময়ে সবচেয়ে দরিদ্র ১০ শতাংশের আয় ছিল ২ শতাংশ আর সবচেয়ে ধনী ১০ শতাংশের আয় ছিল মোট আয়ের ৩৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, সবচেয়ে দরিদ্র ২০ শতাংশের পরে আরেকটু ভালো থাকা ২০ শতাংশের আয় হচ্ছে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ, এরপরের ২০ শতাংশের আয় ১৬ শতাংশ। আর এরপরের ২০ শতাংশের আয় হচ্ছে মোট আয়ের ২১ দশমিক ২ শতাংশ।
আয়বৈষম্যের দিক থেকে অবশ্য বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে দরিদ্র ১০ শতাংশ মানুষ মোট আয়ের মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ আয় করে আর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের আয় ৩০ দশমিক ২ শতাংশ। আর ভারতে এই হার হচ্ছে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ৩০ শতাংশ।
এর আগে কার হাতে কত সম্পদ তার একটি হিসাব প্রকাশ করেছিল সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট সুইসের রিসার্চ ইনস্টিটিউট। তাদের করা ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ রিপোর্ট-২০১৫ অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশের হাতে আছে এখন বিশ্বের ৫০ শতাংশ সম্পদ। আর ৫০ শতাংশ দরিদ্র মানুষের হাতে আছে মাত্র ১ শতাংশ সম্পদ।