Wed. May 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

48খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫ : ঢাকার উত্তরা থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সন্দেহভাজন তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের একজনকে গত মাসে বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছিল পরিবার।

এরা হলেন- এএইচএম খায়রুল আসাদ ওরফে সোহাগ, মীর মোয়াজ্জেম হোসেন সাইফী ওরফে জার্মিন ও মো. কফিল উদ্দিন বিন আমিন।

গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলছেন, এই তিনজন গত ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার ইমামবাড়ায় বোমা হামলাকারীদের চিনতেন।

পুলিশের ভাষ্য, শনিবার সন্ধ্যার দিকে ওই তিনজনকে আটকের সময় একটি মোবাইল জ্যামার ও বেশ কিছু জঙ্গি মতাদর্শের বই উদ্ধার করা হয়।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, “নিজেদের মধ্যে বৈঠকের সময় তাদের সঙ্গে কেউ যাতে যোগাযোগ করতে না পারে এবং বৈঠকের কোনো তথ্য যাতে ফাঁস না হয়, সেজন্য ওই জ্যামার ব্যবহার করা হতো বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তারা।”

দুপুরে ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।

এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম কমিশনার মনিরুল বলেন, “গ্রেপ্তার জার্মিন ও কফিল ২০০৪ সাল থেকে জেএমবির সঙ্গে জড়িত। তারা সংগঠনের কর্মী সংগ্রহ করত, তারা স্পিরিচুয়াল লিডার।”

জার্মিন ‘উগ্রবাদী ভাষণ’ দিয়ে সংগঠনে কর্মী বাড়ানোর চেষ্টা করতেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

মনিরুল বলেন, “গ্রেপ্তাররা সম্প্রতি পুরান ঢাকার হোসাইনী দালানে হামলার সঙ্গে জড়িতদের চিনতেন। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েই তিনজনকে ধরা হয়েছে।”

এদের মধ্যে এএইচএম খায়রুল আসাদ সোহাগ কাজ করতেন একটি বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে। গত ২৪ নভেম্বর উত্তরার বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে স্ত্রী নাসরিনের অভিযোগ।

তিনি বলছেন, স্বামী ‘নিখোঁজ’ হওয়ার পর উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে চাইলেও পুলিশ তা নেয়নি।

খায়রুল দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে উত্তরার ওই বাসায় থাকতেন। তার বাড়ি চট্টগ্রাম সদরে।

পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল বলেন, “সোহাগ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জেএমবিকে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।”

উদ্ধার করা মোবাইল জ্যামারটি সোহাগই সংগ্রহ করেছিলেন বলে জানান মনিরুল।

অন্যদের মধ্যে মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম, মো. সাজ্জাদুর রহমান, মাহবুব আলম, মাশরুকুর রহমান খালেদ, অতিরিক্ত উপ কমিশনার ছানোয়ার হোসেন সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলে।
ইমামবাড়ার হামলাকারীদের ‘চিনতো’ উত্তরার ৩ জঙ্গি
বাংলাদেশ নিউজ২৪ : রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫
ঢাকার উত্তরা থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সন্দেহভাজন তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের একজনকে গত মাসে বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছিল পরিবার।

এরা হলেন- এএইচএম খায়রুল আসাদ ওরফে সোহাগ, মীর মোয়াজ্জেম হোসেন সাইফী ওরফে জার্মিন ও মো. কফিল উদ্দিন বিন আমিন।

গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলছেন, এই তিনজন গত ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার ইমামবাড়ায় বোমা হামলাকারীদের চিনতেন।

পুলিশের ভাষ্য, শনিবার সন্ধ্যার দিকে ওই তিনজনকে আটকের সময় একটি মোবাইল জ্যামার ও বেশ কিছু জঙ্গি মতাদর্শের বই উদ্ধার করা হয়।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, “নিজেদের মধ্যে বৈঠকের সময় তাদের সঙ্গে কেউ যাতে যোগাযোগ করতে না পারে এবং বৈঠকের কোনো তথ্য যাতে ফাঁস না হয়, সেজন্য ওই জ্যামার ব্যবহার করা হতো বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তারা।”

দুপুরে ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।

এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম কমিশনার মনিরুল বলেন, “গ্রেপ্তার জার্মিন ও কফিল ২০০৪ সাল থেকে জেএমবির সঙ্গে জড়িত। তারা সংগঠনের কর্মী সংগ্রহ করত, তারা স্পিরিচুয়াল লিডার।”

জার্মিন ‘উগ্রবাদী ভাষণ’ দিয়ে সংগঠনে কর্মী বাড়ানোর চেষ্টা করতেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

মনিরুল বলেন, “গ্রেপ্তাররা সম্প্রতি পুরান ঢাকার হোসাইনী দালানে হামলার সঙ্গে জড়িতদের চিনতেন। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েই তিনজনকে ধরা হয়েছে।”

এদের মধ্যে এএইচএম খায়রুল আসাদ সোহাগ কাজ করতেন একটি বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে। গত ২৪ নভেম্বর উত্তরার বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে স্ত্রী নাসরিনের অভিযোগ।

তিনি বলছেন, স্বামী ‘নিখোঁজ’ হওয়ার পর উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে চাইলেও পুলিশ তা নেয়নি।

খায়রুল দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে উত্তরার ওই বাসায় থাকতেন। তার বাড়ি চট্টগ্রাম সদরে।

পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল বলেন, “সোহাগ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জেএমবিকে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।”

উদ্ধার করা মোবাইল জ্যামারটি সোহাগই সংগ্রহ করেছিলেন বলে জানান মনিরুল।

অন্যদের মধ্যে মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম, মো. সাজ্জাদুর রহমান, মাহবুব আলম, মাশরুকুর রহমান খালেদ, অতিরিক্ত উপ কমিশনার ছানোয়ার হোসেন সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলে।