Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

6খোলা বাজার২৪,বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫: মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৪৪ বছর পূর্তিতে জাতীয় প্যারেড ময়দানে সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করছেন রাষ্ট্রপতি।

বুধবার সকালে শেরেবাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বর্ণাঢ্য এই কুচকাওয়াজে মুক্তিযোদ্ধা কন্টিনজেন্ট, সশস্ত্র বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন শাখা ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতির তথ্য জানানো হয় অতিথিদের।

বাংলাদেশ টেলিভিশন জাতীয় প্যারেড ময়দান থেকে এ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাষ্ট্রপতি জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা তাকে স্বাগত জানান।

সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের আয়োজনে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, বিএনসিসি, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপি, কোস্ট গার্ড এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা সুসজ্জিতভাবে এই কুচকাওয়াজে অংশ নেন।

কালো স্যুট ও সাদা শার্ট পরিহিত রাষ্ট্রপতি সালাম গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা অভিবাদন মঞ্চে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, সচিব, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও বিভিন্ন মিশনের প্রধান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আরও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুল ও শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান সিদ্দিকী ববি।

এ বছর প্রথমবারের মত কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি নারী কন্টিনজেন্ট রাষ্ট্রপতিকে সালাম জানায়।

গতবারের মত এবারের কুচকাওয়াজেও অধিনায়ক ছিলেন নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

অভিবাদন মঞ্চের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশাল প্রতিকৃতি রাখা হয়। তার পাশে ছিল জাতীয় চার নেতা, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির ওপরে ছিল মুক্তিযুদ্ধের সাত বীরশ্রেষ্ঠর ছবি।

বাদক দলের মঞ্চের পাশে প্রদর্শন করা হয় লাল-সবুজ পাতা দিয়ে তৈরি জাতীয় পতাকা।

সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার মানুষ দুই ঘণ্টাব্যাপী মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন।