খোলা বাজার২৪,রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫: ঢাকায় পাকিস্তানি দূতাবাস থেকে বাংলাদেশে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
“ফারিনা নামের পাকিস্তানের দূতাবাসের একজন জঙ্গিবাদের ম“ দিচ্ছে। তার ফলশ্র“তিতে চট্টগ্রামে নেভির মসজিদে বোমা হামলা,” বলেছেন তিনি।
ঢাকায় পাকিস্তানি দূতাবাসের এক কর্মকর্তার ‘জঙ্গি যোগসাজশের’ কথা গণমাধ্যমে আসার পর মন্ত্রীদের মধ্যে এই প্রথম সরাসরি দেশটিকে দায়ী করে মুখ খুললেন শাজাহান খান।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বছরের শুরুতে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনের পেছনে পাকিস্তানের ম“ রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন।
জঙ্গিদের অর্থায়নে জড়িত সন্দেহে গত জানুয়ারিতে পাকিস্তান দূতাবাসের মাযহার খান নামের এক কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এরপর গ্রেপ্তার এক জেএমবি সদস্য স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, পাকিস্তানের দূতাবাস কর্মকর্তা ফারিনা আরশাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল; যার ভিত্তিতে গণমাধ্যমে খবর ছাপা হয়।
রোববার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় শ্রমিক নেতা শাজাহান খান আরও বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে তারা (পাকিস্তান)।”
একাত্তর সালে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে বাংলাদেশের কাছে ‘পায়ে ধরে’ ক্ষমা চাওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী সদস্যের প্রতীকী বিচারের রায় ঘোষণা করা হবে বলেও এই সভায়ও জানান শাজাহান খান।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মতো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের সরকার ও রাজনীতিকদের নেতিবাচক মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন এই শ্রমিক নেতা।
যুদ্ধাপরাধী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর তা নিয়ে পাকিস্তানের তেহরিক-ই ইনসাফ নেতা ইমরান খানের সমালোচনাও করেন তিনি।
শাজাহান বলেন, “এই ইমরান খান কে আপনারা কি জানেন? ধূর্ত নিয়াজি যে গণহত্যার ছক এঁকেছিল, সেই নিয়াজির আপন ভাতিজা ইমরান খান নিয়াজি। সে তো আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলবেই।”
চলতি বছরের শুরুতে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল অবরোধে যেসব চালক, হেলপার, শ্রমিক ও পুলিশ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তাদেরকে ‘শহীদ’ আখ্যা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
মতবিনিময় সভা থেকে শ্রমিক ইউনিয়নের আগামী কয়েক মাসের কর্মসূচির কথাও জানানো হয়।
এর মধ্যে রয়েছে ৩ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় শাপলা চত্বরে গণজমায়েত এবং বিক্ষোভ মিছিল। ৬ জানুয়ারি যুদ্ধাপরাধী নিজামির ফাঁসির রায় বহাল ও দ্রুত কার্যকরের দাবিতে সকাল ৯টা থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে গণঅবস্থান।