খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫: মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে ‘বিতর্ক আছে’ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্য ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘কোনো কল্পনা থেকে নয়, একটি নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্যই সুচিন্তিত ও পূর্বপরিকল্পিতভাবে খালেদা জিয়া এমন বক্তব্য দিয়েছেন।’
আজ বুধবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাকের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সুরঞ্জিত।
গত সোমবার এক অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘বলা হয়, এত লক্ষ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে, আসলে কত শহীদ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে, এটা নিয়েও বিতর্ক আছে।’
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া আবারও একটি বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন। একটি ঐতিহাসিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও মীমাংসিত বিষয় নিয়ে হঠাৎ করে তিনি সংখ্যাতত্ত্বের বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছেন। এটা দুরভিসন্ধিমূলক। কোথায় গবেষণা করে তিনি এটা পেয়েছেন? পাকিস্তান যেটা উচ্চারণ করে আসছে, তাঁর এই বক্তব্যে সেটাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া এই বক্তব্যের সমর্থনে কোনো যুক্তি দিতে না পারলে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য তুলে নিতে হবে। তা না হলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে বিস্ফোরণ হবে। আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের ডাক আসবে।’
সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত বলেন, ‘সরকারের উচিত স্বাধীনতার পর থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে যে সংখ্যাটি স্বীকৃত, এ নিয়ে একটি আইন করা। আর এ আইন ইতিহাসের গবেষণা নয়, নিজেদের প্রয়োজনে করতে হবে। তাহলে আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ থাকবে না। তা না হলে বেগম খালেদা জিয়া কবে বলে ফেলবেন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধই হয়নি।’
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে সুরঞ্জিত বলেন, ‘আপনি মুক্তিযুদ্ধে হাত দিতে যাইয়েন না। আপনি তো রাজাকারদের মহারানী। তাদের সংখ্যার কথা বলুন। মুক্তিযুদ্ধের সংখ্যা নিয়ে আপনি যা বলেছেন, তা কোনো কল্পনা থেকে নয়। একটি নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্যই। সুচিন্তিত ও পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ বক্তব্য দিয়েছেন আপনি।’
পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে দাবি করে সুরঞ্জিত আরও বলেন, ‘এখন তো পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব নামার প্রয়োজন পড়ে নাই। তাহলে আর্মি নামাতে হবে কেন? নির্বাচনে ছোট-খাটো কিছু ঘটনা ঘটবেই।’