Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

24খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ : রাজশাহীর বাগমারায় একটি কাদিয়ানি মসজিদে জুমার নামাজের সময় ‘আত্মঘাতী বোমা হামলায়’ একজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে বাগমারা থানার ওসি মতিয়ার রহমান জানান।
ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সারা দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
স্থানীয়রা বলছেন, মচমইল সৈয়দপুর চকপাড়া আহমদিয়া মুসলিম জামাতের ওই মসজিদে দুপুর দেড়টার দিকে জুমার নামাজ শুরুর পর দ্বিতীয় রাকাতে এক যুবক পোশাকের নিচ থেকে বোমা বের করে বিস্ফোরণ ঘটান।
ওসি মতিয়ার রহমান জানান, বিস্ফোরণে হামলাকারী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় জানা যায়নি।
আহতদের মধ্যে ময়েজ উদ্দিন, সায়েব আলী এবং নয়ন নামে ১২ বছর বয়সী এক বালককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কাদিয়ানি বা আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনই ওই মসজিদে নামাজ পড়তেন। বিস্ফোরণের পর পুলিশ মসজিদটি ঘিরে রেখেছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে
কারা এ হামলা চালিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ২০০৩-০৪ সালে এই বাগমারা এলাকাতেই জেএমবির শুরা কমিটির প্রধান সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ বা জেএমজেবি নামে একটি জঙ্গি দল সক্রিয় হয়ে ওঠে।
সম্প্রতি রংপুরে জাপানের নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা এবং দিনাজপুরে মন্দিরে হামলা ও ইতালীয় পাদ্রী হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন ঘটনায় জেএমবির জঙ্গিরা জড়িত ছিল বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় বগুড়ার শিবগঞ্জে শিয়া মুসলমানদের একটি মসজিদে ঢুকে নামাজরতদের ওপর গুলি চালানো হলে মুয়াজ্জিন নিহত এবং তিনজন আহত হন।
তার একমাস আগে গত ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার হোসাইনী দালানে আশুরার তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির মধ্যে বোমা হামলায় দুইজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হন।
এরপর ১০ ডিসেম্বর রাতে ঢাকার দারুস সালামে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বাণী ওরফে মাহফুজ ওরফে হোজ্জা ভাই নামে একজন নিহত হলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিহত ওই যুবক ছিলেন জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান ছিলেন।
মাহফুজের আত্মঘাতী হামলার প্রশিক্ষণ ছিল এবং তিনি হোসাইনী দালানে বোমা হামলায় ‘সরাসরি’ অংশ নিয়েছিলেন বলেও সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সর্বশেষ এক সপ্তাহ আগে চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে একটি মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। তবে কারা ওই হামলা চালিয়েছিল, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু কাদিয়ানিরা এর আগেও বিভিন্ন সময়ে উগ্রপন্থি হামলার শিকার হয়েছে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে এরকম বহু হামলার ঘটনা গণমাধ্যমে আসে। ২০১৩ সালে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামও কাদিয়ানিদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবি তোলে।