খোলা বাজার২৪,শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫: ভরষবমিরপুরের ওই বাড়িটি প্রসঙ্গে ডিবির বোমা অপসারণ ও নিষ্ক্রিয়করণ দলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ছানোয়ার হোসেন বলেছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে বাড়িটিতে গ্রেনেড তৈরির পাশাপাশি সেটি জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। ওই বাড়ি থেকেই চলমান জঙ্গি কর্মকাণ্ডের গ্রেনেড ও বোমা সরবরাহ করা হচ্ছিল।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরের এ ব্লকের নয় নম্বর সড়কের একটি ছয়তলা বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। ওই বাড়ি থেকে ১৬টি হাতে তৈরি গ্রেনেড ও দুটি ককটেল উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়। পরে গ্রেপ্তার তিনজনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে শাহ আলী থানায় একটি মামলা করেছেন ডিবির বোমা অপসারণ ও নিষ্ক্রিয়করণ দলের পরিদর্শক শফিউদ্দীন শেখ। ওই মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি।
ডিবির কর্মকর্তারা বলেন, এর আগে গত সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রামে একটি মাজারে বোমা হামলার পর গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিরা জানিয়েছিলেন যে মিরপুরের একটি ছয়তলা বাসায় তাদের বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারের অভিযানে গ্রেপ্তার তিন জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঢাকার ডিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জনকে বোমা ও গ্রেনেড বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।