Thu. May 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

55খোলা বাজার২৪,শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫: জঙ্গি সংগঠন ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’ (এবিটি) সংগঠনের নামে বা ওই জঙ্গি সংগঠনের অবৈধ কর্মকাণ্ডে অর্থায়নকারীদের কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে বা কোনো সম্পত্তি থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো এক চিঠিতে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, এই জঙ্গি সংগঠনের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে মানিলন্ডারিং অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ওই হিসাবের লেনদেন ৩০ দিন করে সর্বোচ্চ ২১০ দিন অবরুদ্ধ রাখা যাবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমসহ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচিতিমূলক তথ্য যেমন নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র এখনো পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পুলিশের কাছে জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত এবং গ্রেপ্তারের পরিচিতিমূলক তথ্য সময়ে সময়ে সরবরাহ করা হলে জঙ্গি অর্থায়ন-বিষয়ক অনুসন্ধান কার্যক্রম অধিকতর কার্যকর করা হবে। ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে কোনো হিসাব পরিচালিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেলে তা যথাসময়ে তাদের জানাতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী এই জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাদের কার্যক্রম নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় এবং পুলিশের পক্ষ থেকে সংগঠনটি নিষিদ্ধ করার পর আমরা এই সংগঠনের নামে বা ওই জঙ্গি সংগঠনের অবৈধ কর্মকাণ্ডে অর্থায়নকারীদের কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে বা কোনো সম্পত্তি থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করতে অনুরোধ জানিয়েছি।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম জেএমবি ও হরকাতুল জিহাদের চেয়েও বড় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে পরিচিত। তারা আল-কায়েদার মতাদর্শ অনুসরণ করে। সংগঠনটি লেখক, ব্লগার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের হত্যা করছে, হুমকি দিচ্ছে। সংগঠনটি ২০১৩ সাল থেকে ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করতে থাকে। সংগঠনটির হামলার মূল লক্ষ্য হলো মুক্ত চিন্তার অনুসারী, ব্লগার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ঘটনায় জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট বরগুনা জেলার একটি মসজিদে জঙ্গি হামলা ও নাশকতার পরিকল্পনা করার সময় সংগঠনটির নেতা মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীসহ ৩০ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।