খোলা বাজার২৪,শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫: ভরষব-(৫)দেশে কি সংখ্যক শিশু পাচারের শিকার হচ্ছে, এর সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই। পাচার প্রতিরোধে জেলা পর্যায়ে গঠিত মনিটারিং কমিটিও কার্যকর নয় বলে অভিযোগ করেছে সোস্যাল এন্ড ইকোনমিক এনহেন্সমেন্ট প্রোগ্রাম (সিপ)। সিপের পক্ষ থেকে মনিটারিং কমিটিকে কার্যকর করার দাবি জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উত্থাপন করেন সিপের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. মনিরুজ্জামান মুকুল ও ইসরাত জাহান বিজু।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০০৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দুই লাখ মেয়েকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে যৌনকর্মে নিয়োজিত হতে বাধ্য করা হয়েছে। এই প্রবণতা বন্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ বাস্তবায়ন ও মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা, জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে পাচার প্রতিরোধ কমিটিকে আরো শক্তিশালী ও কার্যকর করার দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, খরা, ভূমিধ্বস, সন্ত্রাস, ক্ষুধা, এতিম, দারিদ্রতার কারণে প্রতিনিয়ত মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে পাচারকারী চক্র। পাচারকৃত শিশুদের তারা যৌন পেশাসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে বাধ্য করছে। পাচার হওয়া শিশুরা নানা ধরনের নির্যাতন ও অন্ধকার জীবন বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে।