খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৪ জানুয়ারি ২০১৬: ভারতের পাঞ্জাবের পাঠানকোটের বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চালানো হামলা তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, পাঞ্জাবের এই বিমান ঘাঁটিটিতে তৃতীয় দিনেও ভারী আগ্নেয়াস্ত্রের গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
অভিযানে পাঁচ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে আরও অন্ততপক্ষে একজন সন্ত্রাসী এখনো জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্য অভিযানে নিহত হয়েছেন। সোমবার তাদের শেষকৃত্য হবে।
অন্যদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএস জানিয়েছে, অভিযান শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সর্বশেষ দুই সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছেন। সংবাদ সংস্থাটির দেয়া তথ্যানুযায়ী নিহত সন্ত্রাসীর সংখ্যা দাঁড়াল ছয়জনে।
এরআগে রোববার ভারতীয় সেনাবাহিনী, জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষী (এনএসজি), ভারতীয় বিমান বাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী এবং পাঞ্জাব পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত নিরাপত্তা বাহিনীর একটি শক্তিশালী দল বিমান ঘাঁটি ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায়।
বিমানঘাঁটি জঙ্গিমুক্ত না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন এয়ার কমোডোর জে এস ধামুন।
রোববার সকালে গুলির আওয়াজে ঘাঁটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন এনএসজির কমান্ডোরা।
শনিবারের সন্ত্রাসী হামলায় আহত চার নিরাপত্তা সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।এতে সন্ত্রাসী হামলাটিতে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর নিহত সদস্য সংখ্যা সাতজনে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার ভোররাতে হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুক লড়াইয়ে হামলাকারী চার সন্ত্রাসী নিহত হয়।
তল্লাশি চলাকালে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি একে-৪৭ রাইফেল, গ্রেনেড লঞ্চার এবং গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। জিপিএস ডিভাইসগুলোর তথ্য থেকে সন্ত্রাসীরা কোন পথে ঘাঁটিটিতে প্রবেশ করেছে ও কোথা থেকে এসেছে তা জানা যাবে বলে ধারণা করছেন কর্মকর্তারা।
তদন্তের দায়িত্ব ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় বিমান বাহিনী ও পাঞ্জাব পুলিশের সূত্রগুলো জানিয়েছে, তল্লাশি অভিযান চলাকালে গুলি ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও ঘাঁটিটিতে থাকা মিগ-২১ যুদ্ধবিমান ও এমআই-৩৫ সমর হেলিকপ্টারগুলো নিরাপদে আছে। এগুলো যেখানে আছে সেখানে কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পাঞ্জাব পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, “তল্লাশি অভিযান চলছে। সব কিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে। এই অনুসন্ধান সম্পূর্ণ হওয়ার পর তল্লাশি অভিযান শেষ করা হবে।”
হামলাকারীরা জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মোহাম্মদের সদস্য এবং তারা পাকিস্তানের ভাওয়ালপুর থেকে এসেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল বিমান ঘাঁটি থেকে পাকিস্তান সীমান্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে।