Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

52খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি ২০১৬: জাতীয় নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির দিনে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালনে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এবং ধানমন্ডির রাসেল স্কয়ারে আওয়ামী লীগের সমাবেশ শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার কথা থাকলেও আওয়ামী লীগ মঞ্চ করেছে ওই সড়কে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইটের সামনে। আর রাসেল স্কোয়ারের মঞ্চটি হয়েছে লেকের পাড়ে গাড়ি রাখার জায়গায়। বিকাল পৌনে ৩টায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল ইসলাম সোহাগের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের সমাবেশ শুরু হয়।
দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ আজিজ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিএম মোজাম্মেল হোসেনসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা এ সমাবেশে উপস্থিত রয়েছেন। সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা দুপুরের আগেই বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আসতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে শহীদ নূর হোসেন চত্বর থেকে গুলিস্তান সিনেমা হল পর্যন্ত সড়কের দুটি মুখ বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
রাসেল স্কয়ারে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে সমাবেশ শুরু হয় একই সময়ে। দলের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদের পরিচালনায় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ইয়াফেস ওসমান, শেখ ফজলে নূর তাপস, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক ও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাক জাকির হোসেন এই সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করা বিএনপিও এদিন নয়া পল্টনে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করছে। দিনটি তারা পালন করছে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে। গতবছর ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের প্রথম বছর পূর্তির দিনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি জনসভার ঘোষণা দিলে দেখা দেয় উত্তেজনা। পুলিশের বাধায় জনসভা করতে না পেরে খালেদা জিয়া লাগাতার অবরোধ ডাকেন। তিন মাসের ওই কর্মসূচিতে নাশকতায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এবারও দুই দল একই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্বাচনের বর্ষপূর্তির কর্মসূচি পালনের অনুমতি চাইলে নতুন করে উত্তেজনার শঙ্কা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন দুই দলকে আলাদা স্থানে সমাবেশের অনুমতি দেয়। আর মহানগর পুলিশ বেলা ২টা থেকে তিন ঘণ্টা সময় ঠিক করে দিয়ে কয়েকটি শর্ত বেঁধে দেয় দুই দলকে।