খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: সরকারে অপশাসন ও সারা দেশে হত্যা, গুম, নির্যাতন, দেশবাসাসীর সাথে পুলিশী আচরনের সমালোচনা করে বাংলাদেশ ন্যাপ‘র সম্পাদকমন্ডলীর সভায় অভিমত প্রকাশ করা হয় যে, দেশে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। দেশবাসী আজ আওয়ামী দুঃশাসকদের নির্মম, পৈশাচিক ও দুর্ধষ সব সন্ত্রাসী তান্ডব দেখে আতঙ্কিত। পুলিশ এখন নিজেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করছে। তা আরেকবার প্রমাণিত হলো- চা বিক্রেতা বাবুল মাতব্বরের কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে নির্দয়ভাবে কেরোসিনের চুলার আগুন দিয়ে তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে।
আজ শুক্রবার নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ‘র সম্পাদকমন্ডলীর সভায় দলের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া‘র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মোঃ নুরুল আমান চৌধুরী, আহসান হাবিব খাজা, মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, মোঃ আনছার রহমান শিকদার, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, উপ-সম্পাদক আবদুল্লাহ আল-মাসুম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন পুলিশের কর্তব্য হলেও আজ তা অনুরসরণ করছে না তারা। পুলিশ জনগনের বন্ধু হবার কথা থাকলেও তারা এখন জনগনের শত্রুতে পরিনত হচ্ছে। দুষ্টকে দমন না করে বরং পুলিশই এখন চাঁদাবাজীর মতো কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে দুষ্টদের উৎসাহিত করছে। গরীব মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের মতো অমানবিক ও নির্দয় কর্মকান্ড দেখে দেশবাসী এখন বিস্মিত ও হতাশ। মানুষদের কাছ থেকে পুলিশের চাঁদা আদায়ে জুলুমবাজী ও পৈশাচিক কর্মকান্ড দেশকে চরম নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ন্যাপ অবিলম্বে গরীব চা বিক্রেতা বাবুল মাতব্বর ওপর হামলা করে তাকে হত্যাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।
তিনি আরো বলেন, দেশে বর্তমানে যে বিভক্তির রাজনীতি শুরু হয়েছে, তা রাষ্ট্র ও সমাজকে ভয়াবহ পর্যায়ের দিকে পৌছে দিবে। সমাজের সকলস্তরে, এমনকি ব্যক্তি পর্যায়েও এই বিভক্তি ছড়িয়ে পড়েছে। এই বিভক্তি দেশকে সামনে এগিয়ে না নিয়ে বির্পয়ের দিকে ঠিলে দিতে পারে। উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘শাসরুদ্ধকর’ হিসেবে অভিহিত করে অবিলম্বে দেশের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে দেশের সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয় সংলাপের আয়োজন করা জন্য আহ্বান জানান।
সভায় ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারী ও ২৫ ফেব্রয়ারী বিডিআর ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করা হয। কর্মসূচীগুলো হলো ঃ ৮ ফেব্রুয়ারী কাগমারী সম্মেলন দিবসের আলোচনা সভা, ১৯ ফেব্রুয়ারী ভাষা আন্দোলন উপলক্ষে আলোচনা সভা, ২০ ফেব্রুয়ারী মধ্যরাথে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন, ২১ ফেব্রুয়ারী ভাষা শহীদদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠঅন, ২৩ ফেব্রুয়ারী বিডিআর ট্রাজেডি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ২৫ ফেব্রুয়ারী বিডিআর ট্রাজেডিতে শহীদদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠান।