Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

15খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ : মোরা একটি দলকে জেতাবো বলে যুদ্ধ করি’- জাতীয় দলের খেলা থাকলে এই গান গেয়ে মনে আগুন জ্বালাতেন সাবেক ফুটবলাররা। সাবেকদের সঙ্গে আড্ডা দিলেই নানা প্রসঙ্গে ফিরে আসে সেই সব দিনের কথা। আর এখনকার ফুটবলাররা ম্যাচের আগের রাতে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে হোটেলে পড়ে থাকেন। সকালে কোনোমতে চোখ ধুয়ে মাঠে নেমে পড়েন!
অবিশ্বাস্য! হৃদয় ভেঙে দেয়ার মতো কথা। যে ফুটবল ঘিরে এখনো দেশের কোটি কোটি মানুষ স্বপ্ন দেখে, যে ফুটবল ঘিরে রয়েছে এদেশের সোনালি অতীত, সেই ফুটবল নিয়ে এমন নোংরামি?
সাফ এবং বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ব্যর্থতা অনুসন্ধানে গঠিত কমিটি বলছে, ফুটবলাররা এমন নোংরামিই করেছেন।
বাফুফে সদস্য শেখ মোহাম্মদ আসলামের নেতৃত্বাধীন কমিটির দাবি, ‘দলে শৃঙ্খলা বলে কিছু ছিল না। ফুটবলাররা “োরছে মদ্যপান করেছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে আসার সময় প্রচুর মদ কিনেছিলেন ফুটবলাররা। কেরালা গিয়েও অনেক ফুটবলার মদে ডুবে ছিল। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ম্যাচের আগের রাতে মদ্যপানে ডুবে ছিল। দলের ৫০-৬০ ভাগ ফুটবলার ধূমপানে আসক্ত, ফেডারেশন সুযোগ-সুবিধা কম দেয় বলে জাতীয় দল নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে সবাই।’
কদিন আগে বাফুফেকে ব্যক্তিগত প্রতিবেদন দিয়েছেন সাফের পর্যবেক্ষক ও বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের দলনেতা আজমল আহমেদ। তাতে অধিনায়ক মামুনুল ইসলামসহ আট খেলোয়াড়কে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তিনি। একটি সূত্রমতে, আসলামের কমিটিও জাতীয় দল থেকে কয়েকজনকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। নামগুলোও প্রায় একই।
তদন্ত কমিটির তালিকায় আছে অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম, এমিলি, নাসির উদ্দিন, সোহেল রানা, মিঠুন, সোহেলের নাম। মামুনুল দলটাকে ঠিকভাবে এগিয়ে নিতে পারেননি। তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছে কমিটি। এমিলির পড়ন্ত বেলা, ফিটনেস ফিরে পাওয়ার চেষ্টাও নাকি তার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গোলরক্ষক সোহেলের বাজে ফর্ম, মিঠুনের দায়িত্বহীনতার কথা বলা হয়েছে। নাম এসেছে ইয়ামিন মুন্নারও। ওদিকে উইঙ্গার জাহিদকে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ করার কথা বলেছে কমিটি।
বিস্তর এই অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ফরওয়ার্ড সাখাওয়াত হোসেন রনি ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘কারা কী করেছে, সেটা আমি জানি না। তবে আমি শতভাগ নির্দোষ। চেষ্টা করেছি দেশের হয়ে শতভাগ দিতে। কখনো পেরেছি, কখনো পারিনি।’
শুধু বিশৃঙ্খলাই নয়। ধারণা করা হচ্ছে দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ফিক্সিংয়ের সঙ্গেও জড়িত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি ম্যাচে নাকি ইচ্ছা করে কেউ কেউ খারাপ খেলেছেন!