খোলা বাজার২৪বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: কলোম্বিয়ার সরকারের সঙ্গে ফার্ক বিদ্রোহীদের কয়েক দশক ধরে চলা সংঘাতে দুই লক্ষেরও বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ফার্কে অনেক নারী বিদ্রোহীও রয়েছে। কলোম্বিয়ার নারী বিদ্রোহীদের বিরল কিছু ছবি নিয়ে আজকের আয়োজন।
সৎ বাবা ধর্ষণের পর :
২
জুলিয়ানাকে তার প্রেমিক অ্যালেক্সিসের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। ১৬ বছর বয়সে জুলিয়ানের সৎ বাবা তাকে ধর্ষণ করলে সে পালিয়ে গিয়ে ফার্কে যোগ দেয়। এ মুহূর্তে ফার্কের সঙ্গে সরকারের যুদ্ধবিরতি চলছে। অচিরেই একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশের কারণে ফার্ক বিদ্রোহীদের জঙ্গলের জীবন সম্পর্কে এ সব বিরল ছবি ও বিষয় জানা গেছে।
রাজনীতিতে প্রবেশের ইচ্ছা :
৩
প্রায় সাত হাজার ফার্ক গেরিলাদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নারী। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, সরকারি সেনাদের গতিবিধি শনাক্তকরণ – এ সব কাজ করে নারী গেরিলারা। তবে কিউবায় চলা শান্তি আলোচনা সফল হলে পরবর্তীতে কীভাবে জীবন কাটাবে সেই পরিকল্পনা করছে গেরিলারা। জুলিয়ানার ইচ্ছা রাজনীতিতে ঢোকা।
মেয়েরা বেশি নির্দয়! :
৪
ফার্ক নারী গেরিলারা অন্য মেয়েদের মতোই ঠোঁটে লিপস্টিক আর নখে নেইলপলিশ দেয়। কিন্তু তারা নাকি বেশ নির্দয়! কলোম্বিয়ার এক সরকারি সেনা ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-কে বলেন, ফার্কের হাতে ধরা পড়লে আপনাকে এই প্রার্থনা করতে হবে যেন পুরুষ গেরিলাদের হাতে ধরা পড়েন। কেননা নারী গেরিলারা বেশ নির্দয় আচরণ করে।
মা হতে বাধা! :
৫
অভিযোগ আছে ফার্কের নারী বিদ্রোহীদের মা হওয়া নিষেধ। যদি কেউ হয়ে যায় তাহলে তার কাছ থেকে বাচ্চাকে জোরপূর্বক অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। আর যদি গর্ভধারণের খবর আগেই জানা যায় তাহলে জোরপূর্বক গর্ভপাতের ব্যবস্থা করানো হয়।
নারীদের কাছে মেন্টর :
৬
ইনার নাম ইরা কাস্ত্রো। ফার্কের মধ্যম পর্যায়ের এই কর্মী অন্য নারী বিদ্রোহীদের কাছে মেন্টরের মতো। ছবিই বলে দিচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তার একটা বেশ সখ্যতা রয়েছে। কিউবায় তিন বছর ধরে চলা সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় তিনি অংশ নিচ্ছেন।
ক্যাম্পের পরিবেশ :
৭
ছবিগুলো তোলা হয়েছে কলোম্বিয়ার গহীন জঙ্গলে অবস্থিত অ্যান্টিওকিয়া ক্যাম্প থেকে। ঐ জঙ্গলে বিষধর সাপ সহ রয়েছে প্রায় ২০ প্রজাতির উদ্ভট ধরনের ব্যাঙ।
পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে চায় সিন্ডি :
৮
পিস্তলটি পরিষ্কারের পর বৃষ্টির পানি আর আর্দ্রতা থেকে বাঁচাতে কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে রাখছে সিন্ডি। ১৮ বছর বয়সে ফার্কে যোগ দেয়া সিন্ডি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হলে তার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চায়। এরপর রাজনীতিতে যোগস দিতে চায়। আর চায় জনগণকে শিক্ষিত করে তুলতে।
অস্ত্রের সঙ্গে বাস :
৯
ছবিই বলে দিচ্ছে সবৃ। –তথ্য সূত্র: ডয়চে ভেলে।