বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বশিরহাট মহকুমারের হারিশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
গতবছরের ডিসেম্বরে বিদেশ সরকার নামে এক ব্যক্তি তার মায়ের সর্বশেষ ইচ্ছানুযায়ী তার মরদেহ বাড়ির আঙ্গিনায় দাফন করেন।
হিন্দুরা এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে হারিশপুর গ্রামজুড়ে তাকে একঘরে করতে পোস্টারিং করে। পরে গ্রাম পরিষদের সভায় হিন্দু সমাজের অপমান করার অভিযোগে তাকে সর্বসম্মতভাবে একঘরে ঘোষণা করা হয়।
বিদেশ সরকার বলেন, আমার মায়ের কবর দেয়ার পর থেকেই হিন্দু প্রথা অনুযায়ী সঠিকভাবে শবদেহ করা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়। আমি যুক্তি দেখালাম, আমরা মাতুয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় রীতি অনুয়ায়ী এটা করেছি। তারপরেও তারা আমাদের বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়।
মাতুয়া’রা শ্রী হরিচন্দ্র ঠাকুরের অনুসারী। হরিচন্দ্র প্রধানত ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে স্থানান্তরিত হওয়া হিন্দুদের মধ্যে জনপ্রিয়।
এদিকে এ ঘটনায় তাকে সমর্থন করায় তার প্রতিবেশি অনেককেই একইভাবে সামাজিকভাবে বয়কট করা হয়েছে।
সরকারের বাবা জানান, মাতুয়া সম্প্রদায়ের প্রথা অনুযায়ী ‘কবর’ দেয়া অনুমোদিত যাকে ‘সমাধি’ বলা হয়। কিন্তু গ্রামবাসি আমাকে প্রশ্ন করে আমি নাকি কবর দিয়েছি। তখন আমি বলেছি, আমি কবর নয়, সমাধি করেছি। তারপরেও তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের অপমানের অভিযোগ করে আমাদের একঘরে ঘোষণা করেছে।- ইন্ডিয়া টুডে।