Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

47kখোলা বাজার২৪, বুধবার, ৯ মার্চ ২০১৬ : আপিল বিভাগে একাত্তরে গণহত্যার দায়ে আলবদর বাহিনীর প্রধান মীর কাসেম আলীর সর্বো”চ শাস্তির রায়কে কেন্দ্র করে জামাতের ডাকা হরতাল প্রত্যাখ্যান করে হরতাল বিরোধী অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণজাগরণ মঞ্চ।
বুধবার সকাল থেকে শাহবাগে অবস্থান নেয় মঞ্চের নেতাকর্মীরা। জামাত-শিবির এবং যুদ্ধাপরাধ বিরোধী নানা স্লোগানের মাধ্যমে এ অবস্থান কর্মসূচি চলে।
এসময় মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, আজকে যেসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার হচ্ছে, তারা তাদের সংগঠনের সিদ্ধান্তেই যুদ্ধাপরাধ করেছে। সংগঠন হিসেবে জামায়াতের অপরাধ তাদের তুলনায় অনেক বেশি। তাই শুধু যুদ্ধাপরাধের বিচারই নয়, একই সাথে জামায়াতের রাজনীতিও দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে, যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, জামায়াতের ডাকা ন্যাক্কারজনক হরতাল আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। জামায়াত একটি অবৈধ রাষ্ট্রবিরোধী সংগঠন, এদেশে হরতাল ডাকার কোনো অধিকার তাদের নাই। এই হরতাল ডেকে তারা সর্বো”চ আদালতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
এসময় মতিউর রহমান নিজামী ও মীর কাসেম আলীর রায় দ্রুত কার্যকর করার আহ্বান জানান ইমরান এইচ সরকার। হরতালবিরোধী মিছিলটি দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ থেকে টিএসসি ঘুরে আবার শাহবাগে ফিরে শেষ হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হরতাল বিরোধী মিছিল: এদিকে যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর ফাঁসির রায় বহাল থাকায় এ রায়ের প্রতিবাদে জামায়াত ইসলামীর ডাকা হরতাল প্রতাখ্যান করে গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের আয়োজনে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীসহ ক্যাম্পাসে একটি হরতাল বিরোধী মিছিল বের করে। মিছিল ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চারুকলার সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় এসময় সমাবেশে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারন সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।
সমাবেশে তারা বলেন, যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর ফাঁসির রায় বহাল থাকায় দেশের ১৬ কোটি মানুষ আনন্দিত। এই যুদ্ধাপরাধীদের শুধু ফাঁসি নয় তাদের নাগরিকত্বও বাতিল করতে হবে। যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরের দোসর জঙ্গীমাতা খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেনা। মীর কাশেম আলী ছিলেন জামায়াত ইসলামীর অর্থের যোগানদাতা। তার ফাঁসির রায় বহালা থাকায় গোটা জাতি আজ আনন্দিত। বিত্তশালী এই যুদ্ধাপরাধীসহ সকল যুদ্ধাপরাধীর যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।
তারা আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধীদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করতে হবে। জামায়াত শিবিরের কোন দোসর যেন ক্যাম্পাসে নৈরাজ্য ও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. তোফাজ্জেল হক চয়ন, আরিফুর রহমান লিমন, ইমতিয়াজ বুলবুল বাপ্পী, মেহেদী হাসান রনি, আদিত্য নন্দী, মোহাম্মদ সালাম, নিশীতা ইকবার নদী, নিজামুল ইসলাম “িার, বিএম এহতেশাম, ইমরান আহমেদ, ইয়াজ আল রিয়াদ, সাঈফ বাবু, রেজাউদ্দেীলাহ প্রধান, পিয়াল হাসানসহ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও হল পর্যায়ের কয়েক হাজার নেতা-কর্র্মী।