খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ ২০১৬ : ভারত থেকে ১৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে কমিটির বৈঠকে এই সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব অনুমোদন হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লিমিটেড টেন্ডারিং মেথডে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে ভারতীয় কোম্পানি জয় প্রকাশ পাওয়ার ভেঞ্চার লিমিটেড থেকে কেনা হবে।
এই ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট ঘণ্টা) সাড়ে ৪ টাকা দরে কেনা হবে।
“ইতোমধ্যে ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেওয়া হচ্ছে। সেখানে কিছু সিস্টেম লস থাকায় তা পূরণ করতেই এই ৪০ মেগাওয়াট ক্রয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়,” বলেন অতিরিক্ত সচিব।
অন্য প্রস্তাবে ভারতের ত্রিপুরা থেকে ৫ বছর মেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন হয়।
মোস্তাফিজুর জানান, প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা সোয়া ছয় টাকা দরে এ বিদ্যুৎ কেনা হবে।
“প্রতি বছর শতকরা ৫ শতাংশ হারে এর দাম বাড়বে। ৫ বছরে বিদ্যুৎ ক্রয়ে আনুমানিক খরচ হবে ২ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা।”
বিদ্যুৎ ছাড়াও আটটি ক্রয় প্রস্তাব বুধবারের বৈঠকে অনুমোদন হয় বলে জানান অতিরিক্ত সচিব।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা মা’ আদেন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) এর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় সভায়।
প্রতি মেট্রিক টন ৪৫০ মার্কিন ডলার মূল্যে এ সার কেনা হবে বলে জানান মোস্তাফিজুর।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইনের আওতায় ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন’ শীর্ষক প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান জার্মানির আইএলএফ কনসালটিং ইঞ্জিনিয়ার্স এর অনুকুলে ৩৬ মাসের প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি এবং অন্যান্য সেবায় নতুন পেমেন্ট টার্মসহ কার্যাদেশ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন হয়।
এতে খরচ হবে ১২ দশমিক ৬০১২ মিলিয়ন ইউরো।
একই আইনের আওতায় অন্য একটি প্রকল্পে জার্মানির আইএলএফ কনসালটিং ইঞ্জিনিয়ার্সের অনুকূলে আগে অনুমোদিত সাত দশমিক ১৮৪ মিলিয়ন ইউরোসহ মোট সাত দশমিক ৩৯৮৮ মিলিয়ন ইউরো সংশোধিত মূল্যে কার্যাদেশ প্রদান এবং চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল নদী শাসন কাজ সংলগ্ন উজানে মাওয়া পুরাতন ফেরিঘাট থেকে কান্দিপাড়া-যশোলদিয়া বরাবর এক হাজার ৩০০ মিটার নদীতীর প্রতিরক্ষামূলক কাজ সিঙ্গেল সোর্স হিসেবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিএমপি) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রস্তাবও সভায় দেওয়া হয়। এতে খরচ হবে ৩৯২ কোটি টাকা।
বুড়িগঙ্গা নদীর পুনরুদ্ধারসহ আরও কয়েকটি নদীর সর্বমোট ৪০ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার খনন কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিএমপি) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়নে ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে খরচ হবে ৬৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২৬৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা সমঝোতা মূল্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের মাধ্যমে বাস্তবায়নে ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় সভায়।