Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

15kখোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০১৬ : পালিয়ে যাওয়ার পর ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে যাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে, সেই নূর হোসেন নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলা বাতিলের দাবি নিয়ে হাই কোর্টে গেছেন।
তার আইনজীবী এফআরএম লুৎফুর রহমান আকন্দ রোববার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেন।
আগামী সপ্তাহে বিচারপতি ফরিদ আহমেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে আশা করছেন এই আইনজীবী।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
এরপর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ফতুল্লা থানায় একটি এবং আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম সে সময় অভিযোগ করেন, র‌্যাবকে ৬ কোটি টাকা দিয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ডোর কাউন্সিলর নূর হোসেন ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে র‌্যাবের অভ্যন্তরীণ তদন্তেও তার সত্যতা পাওয়া যায়।
হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক বছর পর গতবছর ৮ এপ্রিল নূর হোসেন এবং র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে দুই মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন শুরুতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করলেও এক পর্যায়ে পালিয়ে ভারতে চলে যান। কলকাতায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর ভারত সরকার অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তার বিচারও শুরু করে। তবে শেষ পর্যন্ত দুই সরকারের মতৈক্যে গতবছর নভেম্বরে নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতে হাজির করা হয়।
অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে চলতি বছর ৮ ফেব্র“য়ারি দুই মামলার বিচার শুরু হয় নারায়ণগঞ্জের আদালতে।
নূর হোসেনের আবেদনে মামলা দুটির কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তার আইনজীবী লুৎফুর বলেন, “নূর হোসেন একজন জনপ্রতিনিধি। ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি উপস্থিত ছিলেন তেমন কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ দেখা যায় না। ১৬৪ ধারায় র‌্যাব কর্মকর্তারা বলেছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নির্দেশে তারা ঘটনা ঘটিয়েছেন।”
লুৎফুর বলেন, “ঘটনার ১২দিন পর বিজয় কুমারের এফআইআর করা হয়, যাতে আসামি হিসেবে কারও নাম ছিল না। এটা এতোদিন পর এফআইআর হিসেবে গণ্য হতে পারে না।”
সাত খুনের মামলায় নূর হোসেন এবং র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, আরিফ হোসেন ও এম এম রানাসহ ২২ জন কারাগারে রয়েছে। পলাতক রয়েছেন র‌্যাবের ৮ সদস্যসহ ১৩ আসামি।