খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০১৬ : সাত খুনের ঘটনায় সাবেক র্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মাদের বিরুদ্ধে আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পালের করা মামলার কার্যক্রম চলবে কি না তা জানা যাবে মঙ্গলবার।
তারেক সাঈদের আবেদনের ওপর শুনানি করে রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ আদেশের এই দিন ঠিক করে দেয়।
হাই কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এর আগে ৭ মার্চ এ আবেদন শুনতে ‘বিব্রত’ বোধ করলে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য নতুন এই বেঞ্চে পাঠান।
আদালতে তারেক সাঈদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শহীদুল ইসলাম খান।
গোলাম কিবরিয়া শুনানিতে বলেন, “একই ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলার দুটি চার্জশিটে অভিযোগ একই, তদন্ত কর্মকর্তা, সেকশন ও সাক্ষী একই। চার্জশিটের সিরিয়াল নম্বরও একই। একটি ঘটনায় একটি মামলা হতে পারে, একাধিক নয়।”
অন্যদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান বলেন, “তারেক সাঈদীর মামলা থেকে অব্যাহিতর দরখাস্ত দিলে নিম্ন আদালতে তা খারিজ হয়। এরপর সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এখন সাক্ষ্য চলছে। সোমবার সাক্ষ্যের দিন রয়েছে, আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। এ পর্যায়ে মামলা বাতিল হতে পারে না।”
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
এরপর নজরুল ও তার চার সহযোগীকে হত্যার ঘটনায় বিউটি একটি এবং চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিমকে হত্যার ঘটনায় বিজয় কুমার অন্য মামলাটি দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে গত ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দুই মামলারই স্বাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।