খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৬ মার্চ ২০১৬ : বাংলাদেশের মাটিতে টানা সাত ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথমবার ২০১০ সালে চারটি, পরেরবার ২০১৩ সালে তিনটি। এরপর থেকেই নিউজিল্যান্ডের মূর্তিমান আতঙ্ক বাংলাদেশ। সেই আতঙ্কের কারণেই কি না, গত বিশ্বকাপে নিজেদের মাঠেও ম্যাচটা প্রায় হারতে বসেছিল কিউইরা।
ওয়ানডের রেকর্ডটা যা-ই হোক, টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য বরাবরই বাংলাদেশের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এখনো পর্যন্ত কিউইদের বিপক্ষে ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলে একটিতেও জেতা হয়নি বাংলাদেশের। তারপরেও আজ ইডেনে টি-টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে মাশরাফি-সাকিব-তামিম-মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক-মুস্তাফিজরা প্রতিপক্ষের সমীহই পাচ্ছেন।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে ধারাবাহিক দলটির নাম নিউজিল্যান্ড। এখনো পর্যন্ত তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে রেখেছে তারা। অন্যদিকে বাংলাদেশ সুপার টেনে এখনো জয়ের মুখ দেখেনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় হারের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করে হারে তারা। বেঙ্গালুরুতে সর্বশেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা তো জিততে জিততেও জেতা হয়নি। তারপরেও নিউজিল্যান্ডের সমীহটা বাংলাদেশ পাচ্ছে কেবল তাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আর খেলাটা উপমহাদেশে হচ্ছে বলেই।
নিউজিল্যান্ডের পেসার মিচেল ম্যাকক্লেনাহান বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সতর্ক করে রেখেছেন সতীর্থদের, ‘উপমহাদেশে বাংলাদেশের বিপক্ষে আমাদের রেকর্ড একেবারেই ভালো নয়। উপমহাদেশীয় কন্ডিশনে নিজেদের পারফরম্যান্সের পরিবর্তন জরুরি হয়ে পড়েছে।’
বাংলাদেশকে বড় ‘হুমকি’ বলেই মনে করেন ম্যাকক্লেনাহান। বলেছেন, ‘বাংলাদেশ নিজেদের দিনে যেকোনো দলকেই হারাতে সক্ষম।’
খেলাটা টি-টোয়েন্টি বলেই বাংলাদেশকে নিয়ে ভয়টা যেন একটু বেশি নিউজিল্যান্ডে, ‘এই ম্যাচে আমরা আগের মতোই ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামব। এই টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত নিজেদের পারফরম্যান্সে আমরা বেশ সন্তুষ্ট। কিন্তু এটাও মনে রাখা উচিত, টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা খুব কঠিন। আমরা চেষ্টা করব ছন্দটা ধরে রাখতে।’ সূত্র: নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড।