Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

52খোলা বাজার২৪,বুধবার, ৪ মে ২০১৬: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং অনুসৃত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং সংস্কারমূলক কার্যক্রমসমূহের সফল বাস্তবায়নের ফলেই বাংলাদেশ নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আজ সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির ফকরুল ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দেশের অর্থনৈতিক চাঙ্গা অবস্থা প্রতিফলিত হয়েছে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ অর্থবছরে ছাড়িয়ে যাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ শতাংশ, যা ৭.০৫ শতাংশ হবে বলে তিনি আশা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উচ্চধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে খাতভিত্তিক নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, অর্থনীতির শক্তিশালী ভিত রচনার মাধ্যমে দেশকে উন্নত অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার নির্বাচনী অঙ্গীকারের সনদ ‘রূপকল্প-২০২১’ এর আলোকে বিগত মেয়াদের শুরুতেই প্রণয়ন করে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২০২১)। দীর্ঘমেয়াদী এই পরিকল্পনার দলিলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়নের কর্মকৌশল হিসেবে প্রণয়ন করা হয় ৬ষ্ঠ ও ৭ম এ দু’টি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে এবং ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় যে বিষয়গুলো প্রাধান্য দেয়া হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কারিগরি ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন মানবসম্পদ গঠন; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও যোগাযোগ খাতে অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা দূরীকরণ; কৃষিভিত্তিক শিল্পসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণ; আইসিটি-স্বাস্থ্য-শিক্ষা সংক্রান্ত সেবা রফতানিতে সুনির্দিষ্ট নীতিকৌশল প্রণয়ন; সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগে গতিশীলতা আনয়ন; রফতানি গতিশীলতা এবং একই সঙ্গে পণ্যের বৈচিত্রায়ণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালীকরণে গৃহীত এবং বাস্তবায়নাধীন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপসমূহের মধ্যে রয়েছে- কারিগরি ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন মানবসম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রম, অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম, অভ্যন্তরীণ চাহিদার গতি সচল রাখা, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিল্পখাতের বিকাশে গুরুত্ব প্রদান, রফতানি খাতের উন্নয়ন।