খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০১৬: রাজশাহীর তানোর উপজেলা সদর ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন কোম্পানির নিষিদ্ধ খাবার পণ্য অবাধে বিক্রি হচ্ছে। তানোরের বিভিন্ন হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে অবস্থিত মুদিদোকানে এসব নিষিদ্ধ পণ্য থরে থরে সাজানো রয়েছে।
এসব নিষিদ্ধ পণ্যর মধ্যে রয়েছে-ফ্রুট ড্রিংকস (ফল জাতীয় পানীয়), ওয়েফার, বিস্কুট, সেমাই, ঘি, চাটটি ও ধনিয়া গুড়া। এ সবের মধ্যে অন্যতম প্রাণ কোম্পানির প্রাণ অরেঞ্জ, লিচু ড্রিংকস, প্রমি এগ্রো ফুডস লিমিটেডের দুটি ড্রিংক (অরেঞ্জ ও লিচি), মডার্ন কোম্পানির ফ্রুট ড্রিংকস, অরোভিট ড্রিংক। আর খুচরা পর্যায়ে এসব নিষিদ্ধ পণ্যর বেশির ক্রেতা শিশু-কিশোর। তানোরের গোল্লাপাড়া বাজারের মুদি দোকানি সূজন বলেন, এখনো আমাদের কোম্পানি থেকে এসব পণ্য বিক্রি না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে পণ্যর মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনষ্টিটিউট (বিএসটিআই) ২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর ৩১টি কোম্পানির ৪৩টি খাদ্য পণ্যর লাইসেন্স বাতিল করে। কিšত্ত এখানো তানোরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় নিষিদ্ধ পণ্যগুলো বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করেই বিক্রি করা হচ্ছে। বড় কোম্পানিগুলোর নিষিদ্ধ হওয়া বেশি চালু পণ্যগুলো বাজারে বেশি বিকোচ্ছে। এই কোম্পানিগুলোর কেউই তাদের নিষিদ্ধ এসব পণ্যগুলো বিক্রি বন্ধের জন্য সরবরাহকারীদের (ব্যবসায়ী) কোনো নির্দেশনা দেয়নি। কোম্পানিগুলোর মাঠপর্যায়ের বিক্রয় প্রতিনিধিরাও এখনো এসব পণ্য বিক্রি বন্ধের নির্দেশনা পায়নি।
রাজশাহী বিএসটিআই সুত্র জানায়, বিক্রির লাইসেন্স নেওয়ার সময় পণ্যের যে গুনগত মান বজায় রাখার বাধ্যবাদকতা ছিল, তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় মান নিয়ন্ত্রণকারী পরীক্ষাগারের সুপারিশের আলোকে পণ্যগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হয়। এসব পণ্যর গায়ে বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি পণ্যগুলো কেনাবেচার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য অনুরোধ জানায় বিএসটিআই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাঠ পর্যায়ে প্রাণ কোম্পানির এক বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, বাজারে প্রাণের ফ্রুট ড্রিংকসগুলো বিক্রি হচ্ছে। বিক্রি বন্ধের কোনো নির্দেশনা এখনো তিনি পাননি।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেষ্টিং ইনষ্টিটিউট (বিএসটিআই) উপ-পরিচালক জানান, বিভিন্ন কোম্পানি বিক্রয়-নিষিদ্ধ খাবার পণ্য এখনো বাজারে রেখে অন্যায় করছে। তিনি বলেন, শিগগিরই এসব পণ্য বাজার থেকে তুলে নেওয়ার জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে।