Sun. Oct 19th, 2025
Advertisements

28খোলা বাজার২৪, বুধবার, ০৩ আগস্ট ২০১৬: :মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামে বোমা তৈরীকালে বিষ্ফোরণে আহত সেই সাহারুল ইসলাম (৪০) অবশেষে মারা গেছে। দুপুর দুইটার দিকে পুলিশ হেফাজতে তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সময় বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সাহারুল ইসলাম সীমান্তবর্তী কাজিপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে ও চিহ্নিত চোরাচালানী বলে জানায় পুলিশ।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, আহত অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে বামন্দী আখ সেন্টার থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার জন্য গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্ততি চলার সময় তার মৃত্যু হয়। লাশের ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। সাহারুলের বাড়ি থেকে বোমার তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার হাসিবুল ইসলাম জানান, বোমা বিষ্ফোরণে স্পিল্টারের আঘাতে শাহারুলের দুই হাতের কব্জি উড়ে যায়। এছাড়াও দুই পায়ের পাতায় গুরুতর ক্ষত হয়। হাতের দুই হাতের কনুইয়ে গভীর ক্ষত রয়েছে। এছাড়াও বুক ও মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বোমাঘাতে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান ওই চিকিৎসক।
এদিকে আহত সাহারুলের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী আনেছা খাতুন। বোমা তৈরীর বিষয়ে সে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। তিনি বলেন ঘটনার সময় তিনি বাড়ির পাশর্^বর্তী একটি বাড়িতে ছিলেন। বোমার শব্দ শুনে বাড়িতে ঢুকে দেখেন তার স্বামী রক্তাত্ব অবস্থায় পড়ে আছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে আরো জানা গেছে, সাহারুল ইসলাম কাজিপুর সীমান্ত এলাকার চিহ্নিত চোরাচালানী ও সন্ত্রাসী। তার নামে গাংনী থানায় এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। চোরাচালান ও সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহারের জন্য সে বোমা তৈরী করছিল বলেও জানায় পুলিশ।
প্রঙ্গত, আজ দুপুরে নিজ বাড়িতে বোমা তৈরীর সময় বিকট শব্দে বোমা বিষ্ফোরিত হলে সাহারুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। তাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়ায় যাওয়ার পথে বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।