Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
0,,19195032_301,00
খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০১৬ আটক সাংবাদিক শফিক রেহমানের মুক্তি দাবি করেছে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের জন্য কাজ করা ২৬টি আন্তর্জাতিক সংগঠনের জোট ‘রেপ্রিভ’। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে তারা রেহমানের মুক্তির জন্য আবেদন পাঠিয়েছে ইতোমধ্যেই।
রেপ্রিভ-এর চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের পর তিন মাসেরও বেশি সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

রেপ্রিভ ‘ইনডেক্স অন সেন্সরশিপ’, ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’, ‘ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ জার্নালিস্টস’ এবং ‘পেন অ্যামেরিকা’সহ ২৬টি সংগঠনের একটি আন্তর্জাতিক জোট।

তাদের করা আবেদনে বলা হয়েছে, শফিক রেহমানকে আটকের পর এক সপ্তাহ আলাদা সেলে রাখা হয়েছিল। সেখানে তাকে ঘুমানোর বিছানাও দেয়া হয়নি৷ তারা সাংবাদিক শফিক রেহমানকে মুক্তি দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আইনমন্ত্রীর মাধ্যমে আবেদনটি জমা দিয়েছেন।

রেপ্রিভ-এর চিঠিতে আরো বলা হয়, শফিক রেহমান একজন পেশাদার সাংবাদিক৷ তিনি তার সারা জীবন বাকস্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য কাজ করেছেন৷ তাকে আটকের ঘটনা সংবাদমাধ্যম ও বাকস্বাধীনতার প্রতি হুমকি বলে আমরা মনে করি।

বলা বাহুল্য, তিনি একজন বয়স্ক ব্যক্তি৷ তাই তার স্বাস্থ্য নিয়ে রেহমানের পরিবার খুবই উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

ওদিকে লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার নাদিম কাদির সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, বাংলাদেশে বাক ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। তাছাড়া শফিক রেহমান প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা পরিকল্পনা মামলায় আটক আছেন। তাই পুলিশের তদন্ত করতে সময় লাগতে পারে৷ আর সেটাই তো স্বাভাবিক।

গত ১৬ই এপ্রিল পুলিশ শফিক রেহমানকে তার ঢাকার ইস্কাটনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ ও হত্যা-চেষ্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

শফিক রেহমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেসবাহ ডয়চে ভেলেকে জানান, এই মামলায় পুলিশ এখনো কোনো তদন্ত প্রতিবেদন বা চার্জশিট দেয়নি। অর্থাৎ তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এখনো আনা হয়নি। আর তাই তিনি জামিনও পাচ্ছেন না৷ কারাগারে তিনি দুঃসহ জীবনযাপন করছেন৷ ৮২ বছর বয়সে এই কারাবাস তার জন্য অনেক কষ্টের। তিনি নানা রোগে ভুগছেন।

তিনি জানান, শফিক রেহমানকে জামিন দেয়নি নিম্ন আদালত। তারপর হাইকোর্টও তার জামিন আবেদন নাকোচ করে৷ তবে গত ১৭ই জুলাই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে একটি চার সদস্যের বেঞ্চ শফিক রেহমানকে উচ্চ আদালতে আপিলের অনুমতি দেয়। তার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেয়া হয়। সূত্র : ডয়চে ভেলে।