
জেনেভা থেকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী একটি বিশেষ বিমান স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে ফুলের তোড়া দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় সেখানে ঢাকায় মার্কিন রাষ্টদূত মার্সিয়া বার্নিকাট, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কেরি রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। তিনি সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
তিনি আজ দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করবেন এবং ১টা ১৫ মিনিটে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বাসস’কে বলেন, বৈঠককালে গণতন্ত্র, উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার বিষয়ে অংশীদারিত্ব জোরদার করাসহ ‘সকল দ্বিপক্ষীয় দিক’ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন মন্ত্রীর সম্মানে একটি ওয়ার্কিং লাঞ্চের আয়োজন করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেলা তিনটায় রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় তৈরি পোশাক কারখানা কে-টেক্স ও বিকেল চারটায় নগরীর মাইডাস সেন্টারে এডওয়ার্ড কেনেডি সেন্টার (ইএমকে) পরিদর্শন করবেন।
তিনি ইএমকে সেন্টারে ৪০ মিনিট অবস্থান করবেন। এ সময় তিনি তরুণ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবন ও মার্কিন দূতাবাসের চ্যান্সারি কমপ্লেক্সও পরিদর্শন করবেন।
ঢাকা সফর শেষে জন কেরি সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন। পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন।
নয়াদিল্লীতে তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আমেরিকান কূটনীতিক ও ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনীতিবিদ জন ফোর্বস কেরি ২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৬৮তম পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে ২৮ বছর থাকার পর তিনি পররাষ্ট্র দপ্তরে যোগ দেন। এর আগে চার বছর তিনি সিনেট পররাষ্ট্র সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।