Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

7kঘোষণা অনুযায়ী বিকেল চারটার মধ্যেই নগরীর মূল সড়ক এবং অলিগলি থেকে কোরবানির প্রাণীর বর্জ্য প্রায় অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বর্জ্যগুলো অপসারণে রাত ১০টা পর্যন্ত সময় নিয়েছেন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন। চসিকের দাবি, মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে চসিক ৯৫ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। অলিগলিতে কিছু বর্জ্য এখনও রয়ে গেছে।

চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি শৈবাল দাশ সুমন বলেন, সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আমরা নগরীকে ৯৫ ভাগ পরিচ্ছন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। কিছু গরু জবাই হয়েছে আজ । সেগুলোর বর্জ্য এখনও রয়ে গেছে। বাসাবাড়ির সামনে এখনও কিছু বর্জ্য আছে। সেগুলো রাতের মধ্যেই পরিস্কার করে ফেলব।এদিকে দুপুরে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন চসিকের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মূল সড়কের কোথাও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বর্জ্য দেখা যায়নি। তবে অনেক স্থানে যেখানে দুপুরে গরুর নাড়িভুঁড়ি, লেজের ভগ্নাংশ, হাড়সহ বিভিন্ন বর্জ্য জমা করা হয়েছে সেগুলো পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

এদিকে কোরবানির পশুর নাড়িভুঁড়ি ও অন্যান্য বর্জ্য অপসারণের জন্য নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে ৪টি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি ওয়ার্ড নিয়ে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম জোনে ১০টি করে মোট ৪১ ওয়ার্ডকে ভাগ করে দামপাড়ায় খোলা হয়েছে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। ৪টি জোনে বিবিরহাট, গোসাইলডাঙ্গা, দেওয়ান বাজার ও সরাইপাড়া ওয়ার্ড কার্যালয়ে ৪টি সাব কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।চসিক সূত্রে জানা গেছে, ৪১টি ওয়ার্ডে ১৮০টি আবর্জনাবাহী গাড়ি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করছে। এর মধ্যে আবর্জনাবাহী গাড়ি ১২৬টি, ট্রাক্টর ওয়াগন ৪টি, পে-লোডার ৮টি, ড্রাম ট্রাক ৩২টি এবং অতিরিক্ত গাড়ি ১০টি।এছাড়াও ৬টি পানির ভাউচার, ২৫টি পানির ভ্যানগাড়ি, ৩টি পানির টেম্পো, ২টি পানির টেক্সি সার্বক্ষণিকভাবে কোরবানি পশুর রক্তসহ অন্যান্য বর্জ্য পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত আছে।বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত চসিকের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের নেতৃত্বে প্রত্যেক ওয়ার্ডে কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলররা বর্জ্য অপসারণের কাজ তদারক করছেন।