শরীয়তপুর সদর উপজেলার দক্ষিন কেবলনগর গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার প্রতিবাদ করায় একজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে নেয়া হয়েছে । এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে ।
পালং মডেল থানা সূত্র ও নিহতের ভাতিজা জাহাঙ্গীর বক্তার জানান, শরীয়তপুর সদর উপজেলার দক্ষিন কেবলনগর গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা বলে একই গ্রামের হারুন বক্তারের স্ত্রী পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের এর কর্মচারী নিলা বেগম বেশ কিছুদিন পূর্বে দক্ষিন কেবল নগর গ্রামের শতাধিক পরিবার থেকে ৫ হাজার, ১০ হাজার , ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে। কয়েকদিন পূর্বে গ্রামের মাত্র কয়েক জনের ঘরে বিদ্যুৎ এর সংযোগ দিলেও সবার ঘরে সংযোগ দেয়নি। এতে এলাকায় গ্রাহকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে আলী হোসেন বক্তার সহ গ্রামের আরো ১০/১২ জন লোক নিলা বেগমের স্বামী হারুন বক্তারের কাছে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে তার বাড়ি যায়। সেখানে যাওয়ার পর হারুন বক্তারের সাথে স্থানীয় লোকজনের কথা কাটাকাটি হয় । এক পর্যায়ে হারুন বক্তা, কাসেম বক্তা রিপন বক্তা সহ কয়েকজনে মিলে আলী হোসেন বক্তার সহ স্থানীয় লোকজনের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এ সময় হারুন বক্তারগন আলী হোসেনের বক্তারের মাথায় লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। সেখানে সে মাটিতে পড়ে ঞ্জান হারিয়ে ফেলে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। ্ওে সময় জয়নাল বক্তার , নিলয় বক্তার, মনির হোসেন বক্তার, মতিন বক্তার, সোহেল বক্তারসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে । পালং মডেল থানার পুলিশ খবর পেয়ে সুরত হাল শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে ।
এ ব্যাপারে নিহত আলী হোসেন বক্তার আলী হোসেন বক্তারের স্ত্রী ফিরোজা বেগম বলেন, হারুন বক্তার স্ত্রী নিলা বেগম আমাদের গ্রামের শতাধিক লোকের থেকে বিদ্যুৎ দেয়ার কথা বলে ৫হাজার ১০ হাজার ও ১৫ টাকা করে ঘুষ নিয়েছে। টাকা নেয়ার পরে ও সবাইকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়নি। এ নিয়ে লোকজনের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার আলী হোসেন বক্তারসহ স্থানীয় ১০/১২ জন লোক নিলা বেগমের স্বামী হারুন বক্তার কাছে জিজ্ঞাসা করতে গেলে আমার চাচা আলী হোসেন বক্তার কে পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করেছে। আমি এর বিচার চাই।
পালং মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ এমারৎ হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধাির করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পওয়ার পরে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।