সিলেট অঞ্চলের তুমুল জনপ্রিয় এবাউল শিল্পী উদাস ভানু সরকারের খোঁজ নেয় না এখন আর কেউ। মৌলভীবাজার শহরতলীর ঢেউপাশা গ্রামের নদীর পাড়ে দুই মেয়ে,এক ছেলে,স্ত্রী বৃদ্ধ মা নিয়ে বসবাস করে তারা মানবেতর জীবন নিয়ে । সংসার-পরিজন ফেলে জীবনের সবটা সময়ই তার কেটেছে বাউল গান গেয়ে।
বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের শিষ্য,সিলেট এলাকায় ৯০ দশকের সাড়া জাগানো বাউল শিল্পী উদাস ভানুর পাশে আজ কেউ নেই। মাত্র তিন বছর আগেও গান পাগল এই মানুষটি ছুটেছেন দেশ-বিদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। উদাস ভানুর শেষ সম্বল মনু নদীর তীরের ১৫শতক জমির বসতবাড়িও এখন ভাঙনের মুখে রয়েছে। ফলে যেকোনো সময় নদীতে বিলীন হতে পারে নিঃস্ব বাউল শিল্পীর শেষ সম্পদটুকু। বর্তমানে নানান জটিল রোগ বাসা বেধেঁছে তার শরীরে। ব্রেইন স্ট্রোক থেকে প্যারালাইসড হয়ে অনেকটা গৃহবন্দি হয়ে বিনা চিকিৎসায় দিন পার করছেন সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের ঢেউপাশা গ্রামের এ বাউল। সারাদিন বাড়িতেই কাটে এশিল্পীর। কাউকে দেখলেই অসহায়ের মতো ফ্যালফ্যাল করে শুধু চেয়ে থাকেন। আবারের সুরের মূর্ছনা ছড়াতে চান তিনি। বাউল উদাস ভানুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার এ দুর্দশার চিত্র।
উদাস বানুর মাতা- বিজিতরা দাস ও স্ত্রী নিয়তি রাণী দাস জানান
তিন সন্তান,স্বামী ও বৃদ্ধ শাশুরীকে নিয়ে খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। পরের বাড়িতে কাজ করতে হচ্ছে তাদেরকে। স্বামীর অসুস্থতা নিয়ে ভীষণ চিন্তিত তার স্ত্রী।
তার শিষ্য,ভক্ত ও এলাকাবাসী কয়েকজন জানান ,উদাস ভানু ও তার গানকে পুঁজি করে অনেকেই প্রচুর টাকার মালিক হয়েছেন। একসময় অনেক সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের মালিকের ব্যবসা চলছে উদাস ভানুর ওপর নিভর করে। বাউল শিল্পীকে সুস্থ করে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানন তারা।
উদাস ভানু এ প্রতিনিধি কে জানান, তিনি তিন বছর থেকে বিছানায় আছেন। কিন্তুু কেহ খবর নেয়নি অথচ এমন একদিন ছিল যখন দেশী বিদেশী শ্রোতা-দর্শক ভক্তরা তার গানের জন্য কতো কিছু করতো, বলে ফেল ফেল করে কাঁদতে শুরু করেন।তিনি বিভিন্ন দেশে গিয়ে গান করেছেন। নানা রোগে ভুগছেন,কিন্তু চিকিৎসার টাকা নেই। ‘আমি ভালো হয়ে আবার গান গাইতে চাই’ বলেই ডুকরে কেঁদে ওঠেন উদাস ভানু সরকার।
দেশ বিদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যার গান শুনাতে পাগল ঠিলেন উদাস ভানু। তাকে সহযোগীতার হাত বাড়ানোর আহবান জানান,চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন পরিষদ,চেয়ারম্যানমো: আখলাই মিয়া।
বাউল শিল্পী উদাস ভানুর ভক্ত,শ্রোতাসহ বৃত্তবানদের সহযোগীতায় অঅবারো স্বাভাবিক জীবনে এসে সেই সুরের মর্ছনায় ফিরে আসুক এই প্রতাশা সকলের।