১২ বছর বয়সে বাংলাদেশ সফরের ঝাপসা হয়ে আসা স্মৃতি ফের চাঙা করে নিতে চান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এ কথাই বলেছেন তিনি। ট্রুডো জানান, ১৯৮৩ সালে তিনি বাবা পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডোর সঙ্গে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। চার দিনের সরকারি সফরে কানাডা সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলে এ বিষয়ে কথা হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার হোটেল হায়াত রিজেন্সিতে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুই নেতার আলোচনায় বিশ্বের বর্তমান সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গও স্থান পায়।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম। পররাষ্ট্রসচিব বলেন, সন্ত্রাসকে একটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা সবাই মিলে একসঙ্গে প্রতিহত করার বিষয়ে মত দেন শেখ হাসিনা ও জাস্টিন ট্রুডো। বৈঠকে বাংলাদেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী চলমান প্রক্রিয়া ও আন্দোলনের প্রশংসা করেন কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক আরও বাড়ানো এবং তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন।
শেখ হাসিনা এ সময় জাস্টিন ট্রুডোকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেন বলে জানান শহীদুল হক। এ সময় জাস্টিন ট্রুডো জানান, তিনি ১২ বছর বয়সে তার বাবা পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডোর সঙ্গে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। ট্রুডো শেখ হাসিনাকে বলেন, তিনি শিগগিরই সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন, যাতে ১৯৮৩ সালে তার বাংলাদেশ সফরের ঝাপসা হয়ে আসা স্মৃতি ফের চাঙা করে নিতে পারেন।
পররাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, গত ৩০ বছরে বাংলাদেশের কোনো নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম কানাডা সফর, যার মধ্য দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন দিন উন্মোচিত হয়েছে। বৈঠকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিরুদ্ধে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করার বিষয়ে সম্ভাব্য সমাধান খুঁজতে একমত হয় ঢাকা ও অটোয়া। আলোচনা করে দুই দেশ এ বিষয়ে একটি পথ বের করবে বলেও জানান পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক।