খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬: সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগপদ্ধতি সম্পর্কিত আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সদিচ্ছা থাকলে ২০১৭ সালের ফেব্র“য়ারিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগেই এটি সম্ভব বলে মনে করে টিআইবি।
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সাংবিধানিক অঙ্গীকার অবহেলা করে কোনো আইন প্রণয়ন ছাড়াই ধারাবাহিকভাবে শুধু মনোনয়নের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার কারণে সংবিধানের ১১৮ (১) ধারা শুধু লঙ্ঘিতই হচ্ছে না, বরং নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনব্যবস্থার প্রতি জন-আস্থাও ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। সংবিধানের ১১৮ (১) ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠাসংক্রান্ত আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষেই রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ প্রদান করবেন।’
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগপদ্ধতি সম্পর্কিত আইন প্রণয়ন করা হলে এবং তদনুসারে সার্চ কমিটির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগে স্বচ্ছতার ঘাটতি ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন অভিযোগেরও নিরসনের সম্ভাবনা বাড়বে।’ তিনি বলেন, সার্চ কমিটির কর্মপরিধি ও এর সদস্যদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারণ, সার্চ কমিটির সুপারিশ করা ব্যক্তিদের সব তথ্য জনগণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ, সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের শর্তাবলি, পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাসহ আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতালব্ধ অন্যান্য উপাদান প্রস্তাবিত আইনে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন সম্পর্কিত সব অংশীজনকে সম্পৃক্ত করে ২০১৭ সালের ফেব্র“য়ারিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগেই নির্বাচন কমিশন নিয়োগপদ্ধতি সম্পর্কিত আইনটি প্রণয়ন করার আহ্বান জানায় টিআইবি। এর ফলে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে বলে টিআইবি মনে করছে। একই সঙ্গে এর ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচন কমিশনের মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।