খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘গণঅভ্যর্থনা’ দেওয়ার সময় সুশৃঙ্খল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা মানার জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বিকালে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন থেকে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত সড়কে দাঁড়িয়ে তাকে ‘গণঅভ্যর্থনা’ জানানোর প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এই ধরনের কর্মসূচিতে যানজটসহ পথচারীদের দুর্ভোগের প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্েয সুশৃঙ্খল থাকার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ২২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া হজ থেকে ফেরার পর তার দল বিএনপির একই ধরনের কর্মসূচি থাকায় ব্যাপক যানজটে পড়তে হয় পথচারীদের।
তার একদিন আগে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর জন্য তার সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কর্মসূচিতেও যানজটে নাকাল হতে হয়েছিল রাজধানীবাসীকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সুশৃঙ্খল থাকার আহ্বান জানান।
“শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাই তার নিরাপত্তার বিষয়টি সব সময় আমাদের মনে রাখতে হবে। আপনাদেরকে অনুরোধ করছি, আগামীকাল নেত্রীর নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে নির্দেশনা দেবে তা মানার জন্য। কারণ শেখ হাসিনার বিকল্প শুধু শেখ হাসিনাই।”
শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষে মিরপুর কাফরুলে ৪-নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি।
সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ‘গণঅভ্যর্থনা’ দেওয়ার কর্মসূচির যৌক্তিকতা নেতা-কর্মীদের কাছে তুলে ধরেন।
“তিনি (শেখ হাসিনা) এই দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য যে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, আমরা তাকে কিছু দিতে পারব না। শুধু একটু ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানাব।”
সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া ধরে কূটনৈতিক টানাপড়েন নিয়ে কথা বলেন।
“পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের আর সম্পর্ক থাকতে পারে না। ভবিষ্যতে বাংলার মানুষ ভেবে দেখবে একাত্তরের হত্যাকারীদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখবে কি না।”
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারুক খান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আনিসুল হক, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।
