খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ : যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ১৭ দিনের সফর শেষে শুক্রবার বিকালে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই সফরে ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ায় শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ১৪ দল, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন, ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।
শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত, কুড়িল ফ্লাইওভার, হোটেল র্যাডিসন, কাকলী মোড়, বনানী, জাহাঙ্গীর গেইট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিজয় সরণি, সামরিক জাদুঘর, জাতীয় সংসদ ভবন মোড় থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এ ‘গণঅভ্যর্থনা’ দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ওই কর্মসূচি সফল করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন। তাদের নিয়ে বুধবার নিজেদের জন্মদিন পালন করেন তিনি।
ভার্জিনিয়ার ডালেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে রওনা হবেন। দুবাইয়ে যাত্রাবিরতির পর শুক্রবার বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে ফিরবেন বলে জানানো হয়েছে।
কানাডায় গ্লোবাল ফান্ড সম্মেলন এবং যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে ঈদুল আজহার পরদিন ঢাকা ছাড়েন শেখ হাসিনা।
২৬ সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার কথা থাকলেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর জন্য তা পরিবর্তন হয়।
কানাডার পথে গত ১৪ সেপ্টেম্বর লন্ডনে একদিন অবস্থানের পর শেখ হাসিনা মন্ট্রিলে ‘ফিফথ রিপ্লেসমেন্ট কনফারেন্স অব দ্য গ্লোবাল ফান্ড (জিএফ)’-এ যোগ দেন।
১৬ সেপ্টেম্বর মন্ট্রিলের হায়াত রিজেন্সিতে এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন। সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি।
কানাডা সফর শেষে শেখ হাসিনার ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটে নিউ ইয়র্ক পৌছান।
১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদরদপ্তরে উদ্বাস্তু ও অভিবাসনের উপর সাধারণ পরিষদের উচ্চ পযার্য়ের প্ল্যানারি বৈঠকে ভাষণ দেন তিনি। সেদিন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সাং সু চির সঙ্গে তিনি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করেন।
শেখ হাসিনা জাতিসংঘে ‘গ্লোবাল কমপেক্ট ফর সেফ’, ‘রেগুলার অ্যান্ড অর্ডালি মাইগ্রেশন:টুওয়ার্ডস রিয়ালাইজিং দ্য ২০৩০ এজেন্ডা ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অ্যাচিভিং ফুল রেসপেক্ট ফর দ্য হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড মাইগ্র্যান্টস’ শীর্ষক গোলটেবিলে কো-চেয়ারের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রধানমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনের সাধারণ আলোচনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরে তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আয়োজিত কাউন্টার টেররিজমের উপর এশিয়ান লিডার্স ফোরামের বৈঠকে দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আয়োজিত উদ্বাস্তু বিষয়ক একটি বৈঠকও যোগ দেন শেখ হাসিনা।
২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনের সাধারণ আলোচনায় বক্তব্য রাখেন।
পরে নিউ ইয়র্কে হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেন তিনি।
শেখ হাসিনা ২২ সেপ্টেম্বর ভার্জিনিয়ার উদ্দেশে নিউ ইয়র্ক ছাড়েন। সফরের সর্বশেষ কর্মসূচিতে বুধবার সেখানে বাংলাদেশিদের দেওয়া একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।