খোলা বাজার২৪, শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৬ : মনিরুল ইসলাম পারভেজ,চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে বাসার ছাদে টার্কি মুরগির উৎপাদন শুরু হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে ডিম সংগ্রহের পর বাচ্চা উৎপাদন করে তা বাজারজাত শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। পোলট্রি ফিডের পাশাপাশি শাক, সবজি, লতাসহ গাছের পাতা এ মুরগির খাদ্য।
দেশে এবার উৎপাদন করা হচ্ছে আমেরিকা ও ইউরোপের জনপ্রিয় টার্কি মুরগি। ডিম সংগ্রহের এক মাসের মধ্যে বাচ্চা তৈরি ও তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছয় কেজি ওজন হচ্ছে এসব টার্কি মুরগির।প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমিষজাতীয় খাদ্যের চাহিদা জোগাতে টার্কি মুরগি দেশে বড় ধরনের সুযোগ তৈরি করবে। ঈগল অ্যাগ্রো ভিলেজ বাংলাদেশের পরিচালক নাভিন আনোয়ার বলেন, সিলেটের বুরুঙ্গা এলাকায় প্রাথমিক পর্যায়ে উৎপাদনের পর চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে বাসার ছাদে পালন করা হচ্ছে টার্কি মুরগি। উন্নত দেশের এসব প্রাণী এ দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ায় তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানান তিনি। আর বাজারে এ মুরগির ব্যাপক চাহিদা থাকায় আগামী তিন মাসের মধ্যে পুরো দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যাশাও তাঁদের।
দেশে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে টার্কি মুরগির চাষ। নতুন প্রজাতির এই প্রাণীটি আমিষের প্রয়োজনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে চাষিরা বলছেন, এ ধরনের মুরগি দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের সহজে মানিয়ে নিতে সক্ষম। এ ছাড়া টার্কির বেড়ে ওঠা দেশীয় মুরগির চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি। টার্কি লালন-পালনে সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এরা পোলট্রি ফিডের পাশাপাশি ঘাস, কচুরিপানা, কলমিশাক খেয়ে থাকে। ফলে টার্কি মুরগির মাংস সুস্বাদু হয়ে থাকে।উদ্যোক্তারা বিদেশ থেকে টার্কি মুরগির ডিম আমদানি করছেন। এসব ডিম ২৮ দিন ইনকিউবেটরে রাখার পর তা ফুটে বাচ্চা বের হয়। জন্মের ২৮ দিনের মধ্যে সাড়ে চার কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। উৎপাদকরা দেশের সুপারমার্কেটের মাধ্যমে বাজারজাত করছেন বলে জানিয়েছেন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, ‘যেকোনো বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জন্য প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে কোনো একটি নির্দিষ্ট খাত থেকে সম্ভব নয়। তাই নতুন নতুন উৎস খুঁজতে হবে। এ খাতে কর্মচাঞ্চল্য যেমন সৃষ্টি হবে তেমনি অর্থনীতিতেও কিছুটা অবদান রাখবে। এসব সাফল্যের জন্য দরকার প্রচার ও প্রশিক্ষণ।’