আলেপ্পো এখন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বাহিনী ও তাদের একনিষ্ঠ সমর্থক রাশিয়ার বড় ধরণের সামরিক হামলার কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্রোহীদের দখলে থাকা আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চলে এ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন বেসামরিক লোক নিহত ও বেশ কিছু আবাসিক ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। সরকারি সৈন্যরা ওই এলাকার আনুমানিক ২ লাখ ৫০ হাজার বাসিন্দাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
সিরিয়ায় চলমান সংঘাত বন্ধে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। শনিবার মার্কিন ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে টেলিফোনে আলাপ হয়েছে। দেশ দুটির মধ্যস্থতায় সিরিয়ায় সপ্তাহব্যাপী অস্ত্রবিরতি চুক্তি গত মাসে ভেঙ্গে গেছে।
মস্কোতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেসবুকে জানায়, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তারা আলেপ্পো নগরীর অবস্থা স্বাভাবিক করার সম্ভাব্যতাসহ সিরিয়ার সামগ্রীক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চুক্তি সত্ত্বেও ‘অবৈধ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো’ লড়াই অব্যহত রেখেছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নারী মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা দামেস্ক বা সিরীয় বাহিনীর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সরসরি হামলা সম্পর্কে সতর্কবাণী করেছেন।
শনিবার বিদ্রোহী অধিকৃত আলেপ্পো নগরীর পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম হাসপাতালে ব্যারেল বোমা হামলা চালানো হয়েছে। হাসপাতালটিকে সহায়তা প্রদানকারী চিকিৎসা সংস্থা সিরিয়ান আমেরিকান মেডিকেল সোসাইটি (এসএএমএস) জানিয়েছে, আলেপ্পোতে বেসামরিক নাগরিকদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়েছে।
এসএএমএস’র মুখপাত্র আদহাম সাহলুল শনিবারের হামলা সম্পর্কে বলেন, এম-১০ হাসপাতালে দুটি ব্যারেল বোমা আঘাত হেনেছে। এছাড়া একটি গুচ্ছ বোমা হামলার খবরও পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, হামলার সময় হাসপাতালটিতে কয়েকজন রোগী ও চিকিৎসক ছিলেন।
এসএএমএস জানায়, এই বোমা হামলায় হাসপাতালের দুটি স্থাপনার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।