খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৬ : দেবীর আগমনের মধ্যদিয়ে আগামি ৬ অক্টোবর শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বিদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় শারদীয় দূর্গোৎসব। সে উপলক্ষে বর্ণিল রঙে সাজানো হচ্ছেইনজ নিজ এলাকার পূজামন্ডপ গুলো। ফলে জাক-জমক পুর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের দূর্গা উৎসব। তবে আতঙ্ক থাকলেও রাজশাহীতে এবার বেড়েছে পূজামন্ডপের সংখ্যা। জেলা ও মহানগরে এবার ৪২৯টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন হচ্ছে। এর মধ্যে জেলার নয়টি উপজেলা ৩৫৩ ও মহানগরীতে ৭৬টি। যা গত বছর ছিল ৪০২টি। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশেই কারণে এবার শারদীয় দুর্গোৎসবে পূজামন্ডপের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তাদের নেতৃবৃন্দ। তবে কোন আতঙ্ক না থাকলেও আইন শৃংখলা বাহিনীর কিছু বেধে দেয়া নিয়মের মধ্যে থেকে হিন্দু স¤প্রদায়ের সর্ববৃহৎ এই ধর্মী উৎসবের আয়োজন করতে হচ্ছে তাদের। এ নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও পূজা উৎযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম। এ মতবিনিময়ে হিন্দু স¤প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে শারদীয় উৎসব আয়োজনের বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়। পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবের পূজামন্ডপে তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। সেচ্ছাসেবী ও আনসার-ভিডিপি ছাড়াও প্রতিটি পূজামন্ডেপের নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সার্বক্ষনিক নজরদারি করবে সাদা পোষাকে গোয়েন্দা সদস্যরা। এছাড়াও র্যাব ও পুলিশের বিশেষ টহল থাকবে পূজামন্ডপ এলাকাগুলোতে বলে জানান পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, ৭ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত পূজামন্ডেপের পাশের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। আযান ও নামাজের সময় বন্ধ রাখাসহ রাত ১১টার পর পূজামন্ডপে উচ্চ শব্দে মাইক বা সাউন্ড বক্স বাজানো যাবে না। এছাড়াও কোন প্রকার পটকা ও আতশবাজী ব্যবহার বন্ধ এবং ভ্যানেটি ব্যাগসহ যে কোন ধরনের ব্যাগ নিয়ে পূজামন্ডেপে যাওয়া যাবে না এবং বিকেলে ৩টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দিতে আয়োজকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেন পুলিশ কমিশনার। বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদের সহসভাপতি ও রাজশাহী আঞ্চলিক হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অনিল কুমার সরকার বলেন, আইন শৃংখলা বাহিনীর নির্দেশনা মেনে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। তাদের এ নির্দেশনায় উৎসবের কোন ঘার্তি হবে না বলে জানান তিনি। অনিল কুমার বলেন, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশেই কারণে এবার শারদীয় দুর্গোৎসবে পূজামন্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। গত বারের ৪০২টি হলেও এবার ২৭টি পূজামন্ডপ বেড়ে দাড়িয়েছে ৪২৯টিতে।