খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০১৬: বগুড়ার কাহালুতে পৌর যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই যুবলীগ নেতা ছুরিকাঘাত সহ কাহালু সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পৌর যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু বক্করকে চাকুসহ আটক করেছে। আটক হওয়া নেতাকে ছেড়ে নেওয়ার দাবিতে তার গ্রুপের নেতাকর্মীরা কাহালু পৌর শহরের সবক’টি রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। বুধবার দুপুরে কাহালু পৌর চারমাথায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। আহতরা হলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও কাহালু সদর ইউপি চেয়ারম্যান সহকারি অধ্যাপক পি এম বেলাল হোসেন, পৌর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হাকিম, যুবলীগের সদস্য আব্দুল মোমিন। আহতরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন দুপুরে কাহালু পৌর চারমাথায় যুবলীগের আব্দুল হাকিম সহ ৩/৪জনের সঙ্গে আবু বক্কর এর বাকবির্তক হয়। এ সময় আবু বক্কর আব্দুল হাকিম ও আব্দুল মোমিনকে ছুরিকাঘাত করে চলে যান। কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী এর সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, অন্তর্দ্বন্দ্বের জের ধরেই সংঘর্ষ হয়েছে। চাকু সহ আবু বক্করকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কোনো পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ থানায় করা হয়নি। স্থানীয়রা গুরুতর আহত আব্দুল হাকিম ও আব্দুল মোমিনকে কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেয়। এরপর হাকিমের অনুসারীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে প্রতিপক্ষরা আবারও তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এতে ইউপি চেয়ারম্যান সহকারি অধ্যাপক পি এম বেলাল হোসেন গুরুতর আহত হন। থানার সামনে এ ঘটনায় পুলিশ এসে মৃদু লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পুলিশ পৌর যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু বক্করকে আটক করে। তারপর থেকে থানায় আটক হওয়া নেতা আবু বক্করকে ছেড়ে নেওয়ার দাবিতে কাহালু পৌর চারমাথা সহ সব কয়টি রাস্তা বন্ধ করে দেয় তার অনুসারীরা। ঘন্টা দুয়েক পর পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুবলীগের কয়েকজন বলেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ইউ পি চেয়ারম্যান সহকারি অধ্যাপক পি এম বেলাল হোসেনের সঙ্গে কাহালু পৌর মেয়র ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন কবিরাজের দ্বন্দ্বের জের দীর্ঘদিনের। তাঁদের আধিপত্ত্ব বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। কাহালু পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেন নি।