Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

19খোলা বাজার২৪, রবিবার, ০৯ অক্টোবর, ২০১৬: গেরিলা বাহিনীর দুই হাজার ৩৬৭ সদস্যের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৩০ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে।

আজ রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এই মুক্তিযোদ্ধারা সবাই ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করে সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর ন্যাপ, সিপিবি ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত গেরিলা বাহিনীর দুই হাজার ৩৬৭ সদস্য সশস্ত্র গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেন। ৮ সেপ্টেম্বরের ওই রায়ের মাধ্যমে এই মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি দেন আদালত। দুই হাজার ৩৬৭ জন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাকে যথাযথ সুবিধা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দেওয়া হয় সেদিন।
২০১৩ সালের ২৪ জুলাই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। যেখানে কমরেড মণি সিং ও ন্যাপের সভাপতি মোজাফফর আহমদসহ দুই হাজার ৩৬৭ জন গেরিলা যোদ্ধার তালিকা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রকাশ করা হয়।
তবে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর সরকার ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল ঘোষণা করে। এই বাতিল প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে ওই বছরই একটি রিট করেন ঐক্য-ন্যাপের আহ্বায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য।
গত বছরের ১৯ জানুয়ারি এক রুলের মাধ্যমে উচ্চ আদালত সরকারের কাছে জানতে চান, কেন এই প্রজ্ঞাপন বাতিলকে অবৈধ ও বে আইনি ঘোষণা করা হবে না। সেইসঙ্গে গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা বাতিল করে জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনটির কার্যকারিতা স্থগিতও করেন আদালত।