
খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৬: তিস্তা চুক্তি নিয়ে আবারও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৬ অক্টোবর ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গোয়ার পানাজি শহরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আজ শনিবার পানাজিতে অনুষ্ঠিত হবে ব্রিকস দেশগুলোর প্রতিনিধিদের শীর্ষ সম্মেলন। তার পরদিনই আবার রয়েছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশকে নিয়ে গঠিত আঞ্চলিক জোট বিমসটেকের সম্মেলন। আর এই সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী রোববার গোয়া যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্মেলনের ফাঁকে তিস্তা চুক্তিসহ নানা ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় উভয় দেশের মধ্যে যেসব যৌথ সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তা-ও বাস্তবায়নে আলোচনায় আসবে। আর এ আলোচনায় অগ্রগতি হলে আগামী বছর শেখ হাসিনা আবারও ভারত সফরে যেতে পারেন। এ বৈঠকে ভারত, ভুটান, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বিবিআইএন উদ্যোগকে আরও সম্প্রসারিত করার বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।
এ বিষয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক বক্তব্যে বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদির জিরো টলারেন্স নীতিকে সমর্থন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই এ লড়াইয়ে পাশে থাকার বিনিময়ে ভারতের কাছে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে গতিশীলতা চায় বাংলাদেশ।
ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীও জানান, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিস্তা চুক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেবে তার দেশ।
বিমসটেক সম্মেলন চলাকালে শেখ হাসিনা রাশিয়া, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। গত মাসে ভারতের কাশ্মীরের উরি সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে এবারের ব্রিকস ও বিমসটেক সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবেই প্রাধান্য পাচ্ছে সন্ত্রাসবাদ দমন ইস্যু। এই বিমসটেক সম্মেলনেই বাংলাদেশ আগামী নভেম্বরে লাহোরে অনুষ্ঠিতব্য সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে পারে।