Thu. Aug 28th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৬: ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা মামলায় জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত ১০টা ৩০ মিনিটে খুলনা জেলা কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর হয় বলে নিশ্চিত করেন জেল সুপার কামরুল ইসলাম।

এর আগে একই মামলায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ দেশের বিভিন্ন কারাগারে শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাই ছয়জন জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর হয়। আরিফের ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে এই মামলায় ফাঁসির দণ্ড পাওয়া সব আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলো।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠির দুই বিচারক নিহত হন। সেদিন সকাল ৯টার দিকে সরকারি বাসা থেকে জেলা জজ আদালতে যাওয়ার পথে দুই বিচারককে বহনকারী মাইক্রোবাসে হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ এবং বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ে।

পুলিশ জানায়, এরপর জেএমবির শীর্ষ নেতারা আটক হন। জঙ্গিদের ঝালকাঠিতে এনে জেলা জজ আদালতে চাঞ্চল্যকর এ মামলার বিচারকাজ চলে। আদালত ২০০৬ সালের ২৯ মে সাতজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। তাদেরই একজন এই আরিফ। তিনি পলাতক থাকায় উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারেননি। অন্য ছয়জন আপিল করলেও ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখেন উচ্চ আদালত। দেশের বিভিন্ন কারাগারে ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ছয়জন জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। এই জঙ্গিরা হলেন: জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাই, শায়খের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন ও খালেদ সাইফুল্লাহ (ফারুক)।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, ছয় শীর্ষ জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর ২০০৭ সালের ১০ জুলাই আরিফ ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার হন। ওই বছর জুলাই মাসে হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি। শুনানি শেষে হাইকোর্ট তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। পরে আপিল বিভাগেও একই সাজা বহাল থাকে। আপিল বিভাগের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আরিফ যে আবেদন করেছিলেন, গত ২৮ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ তা খারিজ করেন।

খুলনা কারাগার সূত্র জানায়, আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফ ২০০৮ সাল থেকে খুলনা জেলা কারাগারে ছিলেন। এক যুগ পর খুলনা কারাগারে কোনো দণ্ডিত কোনো আসামির ফাঁসি কার্যকর হলো। সর্বশেষ ২০০৪ সালের ১০ মে খুলনা জেলা কারাগারে এরশাদ শিকদারের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।