খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৬: গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত শনিবার দুপুরে জন্ম নেওয়া জমজ ৩ ছেলে সন্তানের মধ্যে দুজন মারা গেছে। এখন একজন মাত্র বেঁচে আছে। টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে না পারায় বেঁচে থাকা শিশুটিও রয়েছে ঝুঁকিতে। আজ দুপুরে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিশুটি বেঁচে আছে।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে ঝড়াবর্ষা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো বাড়ি জুড়ে শোকের মাতম। আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের উৎসুক মানুষজন ছুটে আসছেন শিশুটিকে দেখতে।
সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শিশুটির পরিবার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ঝড়াবর্ষা গ্রামের গৃহবধু পাপিয়া বেগমের (২৫) বাবার বাড়ি। গত শনিবার সকালে পাপিয়া বেগমের প্রসববেদনা উঠলে তাকে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে তিনি স্বাভাবিকভাবে তিনটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। শিশুদের ওজন কম থাকায় ওইদিন বিকালে তাদেরকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে শনিবার রাতেই আবার উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় তাদেরকে। রোববার সকালে সেখানকার চিকিৎসকরা আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকায় চিকিৎসা খরচের আর্থিক সামর্থ না থাকায় গত রোববার বিকেলে সন্তানদের ঝড়াবর্ষা গ্রামে নিয়ে আসেন শিশুগুলোর অভিভাবকরা।
এদিকে গতকাল সোমবার রাতে তিন শিশুর মধ্যে একটি শিশু মারা যায়। পরে গতকাল মঙ্গলবার সকালে অপর আর একটি শিশুও মারা যায়। শিশুটির মা পাপিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, সঠিকভাবে চিকিৎসা না পাওয়ায় আমার দুইসন্তান মারা গেছে।
শিশুর বাবা আকাশ মিয়া বলেন, একসঙ্গে তিন ছেলে সন্তান পেয়ে আমি খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু তাদের দুজন মারা গেছে। চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে বলেছেন। কিন্তু টাকার অভাবে নিয়ে যেতে পারছি না।
এসব বিষয়ে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম থাকায় শিশুটির জীবনের ঝুঁকি আছে। ভালভাবে দেখভাল ও উন্নত চিকিৎসা করাতে হবে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ বলেন, শিশুটির পরিবার কোন সহযোগিতা চাইলে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।